বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সৃষ্টির প্রথমভাগে ব্রহ্মা (Brahma) প্রজাপতি সৃষ্টি করেন। মনুস্মৃতি গ্রন্থ খ্যাত এই প্রজাপতিই হল মানবজাতির আদিপিতা। এই প্রজাপতিরা হলেন মারীচি, অত্রি, অঙ্গিরস, পুলস্ত, পুলহ, ক্রতুজ, বশিষ্ঠ, প্রচেতস বা দক্ষ, ভৃগু ও নারদ। আবার বিশ্বসৃষ্টির কাজে সহায়তা সপ্তর্ষি অর্থাৎ সাত মহান ঋষির স্রষ্টা হলেন দেব ব্রহ্মা। ব্রহ্মার মন থেকে সৃষ্ট এই পুত্রদের মানসপুত্র বলা হয়।
চার মুখ বিশিষ্ট ব্রহ্মা কমণ্ডলুধারী। কখনও লাল পদ্ম আবার কখনও শ্বেতহংসের উপর বসেন তিনি। গাত্র বর্ণ লাল গৌরবর্ণ। তাঁর চার হাতের মধ্যে উপরের ডানহাতে স্রুব থাকে এবং বামহাতে কমণ্ডলু থাকে। আবার নিচের ডানহাতে জপমালা, বামহাতে স্রুব থাকে। তার বামপাশে আজ্যস্থালী এবং সাবিত্রী থাকে। আবার সম্মুখে থাকে বেদসকল এবং ঋষিগণ। ব্রহ্মার ডানপাশে সরস্বতী দেবী থাকেন।
ব্রহ্মার ধ্যানমন্ত্র
ব্রহ্মা কমণ্ডলুধরশ্চতুর্বক্রশ্চতুর্ভুজঃ।কদাচিৎরক্তকমলে হংসারূঢ়ঃ কদাচন।।বর্ণেন রক্তগৌরাঙ্গঃ প্রাংশুস্তুঙ্গাঙ্গ উন্নতঃকমণ্ডলুর্বামকরে স্রুবো হস্তে তু দক্ষিণে।দক্ষিণাধস্তথা মালা বামাধশ্চ তথা স্রুবঃ।আজ্যস্থালী বামপার্শ্বে বেদাঃ সর্বেহগ্রত স্থিতাঃ।।সাবিত্রী বামপার্শ্বস্থা দক্ষিণস্থা সরস্বতী।সর্বে চ ঋষয়োহ্যগ্রে কুর্যাদেভিশ্চ চিন্তনম।।
পুরাণ মতে হিন্দুধর্মে সৃষ্টির দেবতা হলেন ব্রহ্মা। ভগবান বিষ্ণু এবং মহাদেব শিবের সঙ্গে তিনি ত্রিমূর্তিতে তিনি বিরাজমান। বিদ্যাদেবী মা সরস্বতী হলেন ব্রহ্মার স্ত্রী।