বাংলাহান্ট ডেস্কঃ গণেশ (Gonesha) দেবতা হলেন হিন্দুধর্মের সর্বাধিক পরিচিত ও সর্বাধিক পূজিত দেবতাদের অন্যতম। মহাদেব শিব এবং মাতা দূর্গার আর এক পুত্র দেব গণেশ তার বিভিন্ন চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের জন্য প্রসিদ্ধ। কিন্তু গণেশ তাঁর হাতির ন্যায় মাথাটির জন্যই সর্বাধিক পরিচিতি লাভ করছেন। গণেশ ঠাকুরকে বিঘ্ননাশকারী,শিল্প ও বিজ্ঞানের পৃষ্ঠপোষক, বুদ্ধি ও জ্ঞানের দেবতা রূপে পূজা করা হয়। যেকোনরকম শুভকার্য, উৎসব ও অনুষ্ঠানের শুরুতে গণেশ ঠাকুরের পূজা করা হয়।
‘গণপতি বাপ্পা মোরিয়া’- লাড্ডুতে খুশি হওয়া ভগবান গণেশ কিন্তু সব দেবতার আগেই পূজিত হন। ছোট্ট ইঁদুর বাহনকে সঙ্গে নিয়ে গণপতি বাবা আসেন সবার আগেই। সিদ্ধিদাতা গণেশকে সন্তুষ্ট করতে পারলে কিন্তু আপনার শ্রীবৃদ্ধি বাড়বে, আপনার বাড়িতে সুখ শান্তি বৃদ্ধি পাবে।
প্রতি বছর মা দূর্গা আসার আগে তাঁর সন্তান গণেশের আগমন হয়। বিভিন্ন অঞ্চলের মতো এখন কলকাতায়ও ধুম ধাম করে পালন করা হয় গণেশ চতুর্থী। গণেশ দেবতার আরাধ্যে মেতে ওঠে কলকাতাবাসী। দেবতাকে প্রসন্ন করে তাঁর থেকে ভালো বর লাভের আশায় সকলেই তাঁর সেবা করেন। তবে মন দিয়ে সিদ্ধিদাতা গণেশের পূজো করলে, তিনি সকলের মনস্কামনা পূর্ণ করেন। তাই ভক্তি ভরে গণেশের পূজো করলে, ভগবান তাঁকে দুহাত তুলে আশির্বাদ করেন।
গণেশ ঠাকুর কিন্তু আবার খেতে খুবই ভালো বাসেন। তাই পেট পূজো করিয়ে তাঁকে সন্তুষ্ট করা কিন্তু খুবই সহজ। গনেশ ঠাকুর লাড্ডু এবং মোদক খেতে খুবই ভালো বাসেন। তারই দোকান থেকে না কিনা যদি আপনি হাতে বানিয়ে তা ভগবানের উদ্দ্যেশ্যে অর্পন করেন , তাতে ভগবান আরও বেশি প্রসন্ন হবেন। গণেশ ঠাকুরের কিন্তু মূর্তি পূজাই প্রচলিত আছে।
তবে সেক্ষেত্রে এক সঙ্গে অনেক মূর্তি নয়, একটি মূর্তি রেখেই পূজো করতে হয়। বাজারে নানান রঙের গণেশ ঠাকুরের মূর্তি পাওয়া যায়। তবে বাস্তুবিদরা মনে করেন সাদা বা হলুদ রঙের গণেশ মূর্তি পূজো করলে, সংসারে শ্রীবৃদ্ধি হয় এবং ধনরত্নে ভরে যায়। তবে গণেশ মূর্তি পূজোর সময় কিন্তু বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিক বা একেবারে পশ্চিমদিকে রেখে পূজো করলে তা শুভ মনে করা হয়।