মনে সাহসের সঞ্চার করতে পূজো করুন মা তারার, দুর্বলতা থেকে পাবেন নিমেষে মুক্তি

বাংলাহান্টডেস্কঃ তারাপীঠ পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার রামপুরহাট শহরের কাছে অবস্থিত একটি ক্ষুদ্র মন্দির নগরী। এই শহর তান্ত্রিক দেবী তারার মন্দির ও মন্দির-সংলগ্ন শ্মশানক্ষেত্রের জন্য বিখ্যাত। হিন্দুদের বিশ্বাসে, এই মন্দির ও শ্মশান একটি পবিত্র তীর্থক্ষেত্র। এই মন্দির শাক্তধর্মের পবিত্র একান্ন সতীপীঠের অন্যতম। এই স্থানটির নামও এখানকার ঐতিহ্যবাহী তারা আরাধনার সঙ্গে যুক্ত। 

তারাপীঠ এখানকার “পাগলা সন্ন্যাসী” বামাক্ষ্যাপার জন্যও প্রসিদ্ধ। বামাক্ষেপা এই মন্দিরে পূজা করতেন এবং মন্দির-সংলগ্ন শ্মশানক্ষেত্রে কৈলাসপতি বাবা নামে এক তান্ত্রিকের কাছে তন্ত্রসাধনা করতেন। বামাক্ষ্যাপা তারা দেবীর পূজাতেই জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। মন্দিরের অদূরেই তার আশ্রম অবস্থিত।

tarapith

সাধক বামাক্ষ্যাপা (Bamakhepa) ছিলেন কালী মায়ের সাধক। তাঁর দুর্বল সময়ে মা তারা তাঁকে অনেক শক্তি জুগিয়ে তাঁর পাশে ছিলেন। সেই থেকে দুর্বল সময়ে একমাত্র ভরসা তারা মা। বিপদে আপদে তাই সবাই তারা মায়ের শরণাপন্ন হন। কোন কারণে দুঃখ পেলে, কষ্ট পেলে মানুষের সহজে চোখ খোলে না। অনেক বিপদ কাটিয়ে যখন তাঁদের চোখ খোলে, তখন তাঁরা বিপদ মুক্ত হতে মায়ের শরণাগত হন।

ভক্তি ভরে মাকে ডাকলে, তারা মা তাঁর সব ভক্তদেরই মুক্তির উপায় বলে দেন। সংসারের সব দুঃখ কষ্ট দূর করেন তারা মা। মা তারা কখনই তাঁর শক্তিকে হেরে যেতে দেন না। সমস্ত শক্তির উৎস তিনি। তাই তারাপীঠ সকলের কাছেই এক সাধনার স্থান। যখন সংসারের মা, বাবা, ভাই, বোন সবাই মুখ ফিরিয়ে নেয়, তখন তারা মা তাঁকে আশ্রয় দেয়। তারা মা তাঁকে শক্তি যোগায়। জীবনে আবার নতুন করে উঠে দাঁড়াতে সহায়তা করে। হেরে যাওয়ার পরেও জীবনে ভালো কিছু করার ইচ্ছাকে জাগিয়ে তোলে।

9

সম্পর্কিত খবর