বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ এক মাসেরও বেশি সময় ধরে দিল্লির যন্তর মন্তরে চলেছে ভারতীয় বক্সিং ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট তথা বিজেপি (BJP) সাংসদ ব্রিজভূষণ সিংহের (Brij Bhushan Sharan Singh) গ্রেপ্তারের দাবিতে, কুস্তিগীরদের একটা বড় অংশের আন্দোলন। এই আন্দোলনকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাক্ষী মালিক, বজরঙ্গ পুনিয়া, ভিনেশ ফোগাত সহ দেশের প্রথম সারীর কুস্তিগীররা।
ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে এক নাবালিকা এবং একাধিক মহিলা কুস্তিগীরকে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ তুলেছেন তারা। শাসকদল ঘনিষ্ট হওয়ার কারণে সমস্ত রকম আইনি শাস্তির হাত থেকে রেহাই পান ব্রিজভূষণ এমনটাই দাবি তাদের।
কুস্তিগীরদের প্রতিবাদে বিষয়ে গত এক সপ্তাহে অবগত হয়ে গিয়েছে গোটা ভারত। যেখানে যৌন হয়রানির দায়ে অভিযুক্ত বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে দেশের নানা প্রান্তে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। সেখানে সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে রাম জন্মভূমি অযোধ্যায়। সেখানে সাধু সমাজের একাংশ মনে করছে বিজেপি সাংসদ সম্পূর্ণ নির্দোষ। তাঁকে ইচ্ছাকৃতভাবে যৌন হয়রানির অভিযোগে জেলে ঢোকানোর চেষ্টা হচ্ছে।
এখানেই শেষ নয়। আগামী সোমবার সরযূ নদীর তীরে বিরাট সমাবেশের আয়োজন করেছে সাধু সমাজ। ব্রিজভূষণের লোকসভা কেন্দ্র কেইসরগঞ্জ হল অযোধ্যার লাগোয়া। রাম জন্মভূমির সঙ্গে তাঁর রাজনৈতিক যোগও দীর্ঘদিনের। রামমন্দির আন্দোলন ও বাবরি মসজিদ ধ্বংসে মুখ্য করসেবকদের একজন তিনি। অযোধ্যায় সাধু সমাজকে নিয়মিত দানধ্যানও নাকি করে থাকেন তিনি। তবে শেষপর্যন্ত হয়তো ব্রিজ ভূষণ সেখানে উপস্থিত থাকতে পারবেন না। জানা যাচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ১১ লক্ষ দর্শক হওয়ার সম্ভাবনা সম্পন্ন এই জনসমাবেশ বাতিল করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন ব্রিজভূষণ।
তবে দিল্লি অভিযান আগেই শুরু করেছে কয়েকটি সংগঠন। আন্দোলনরত কুস্তিগীরদের অন্যতম উপদেষ্টা হলেন কৃষক নেতা মহেন্দ্র সিং টিকায়েত। আর তাই পাল্টা দিতে অযোধ্যার সাধু সমাজকে পাশে নিতে উদ্যোগী হয়েছিলেন যৌন কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত নেতা। অবশ্য অযোধ্যার বিজেপি নেতা সঞ্জয় শুক্লার বক্তব্য, সোমবারের সভার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। ওটা সাধু সমাজের বিষয়।