বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: চিন্তার ভাঁজ সিএবি কর্তাদের কপালে। বাংলা ছাড়তে পারেন এই মুহূর্তে বঙ্গ ক্রিকেটের মুখ ঋদ্ধিমান সাহা। গতকালই ঘোষণা হয়েছে রঞ্জি ট্রফির নক আউটের জন্য ২০ সদস্যের নাম। তাতে জায়গা দেওয়া হয়েছে বঙ্গ ক্রিকেটের দুই তারকা ঋদ্ধিমান সাহা এবং মহম্মদ শামি-কে। দুই তারকাই এখন গুজরাট টাইটান্সের হয়ে আইপিএল খেলতে ব্যস্ত। কিন্তু ঋদ্ধিমান তার ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন যে তাকে যেভাবে কয়েক মাস আগে অপমানিত করা হয়েছে তার একটি বিহিত না হলে বাংলার হয়ে রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা তো দূরের কথা, তিনি অন্য রাজ্যের হয়েও রঞ্জি খেলার কথা ভাবতে পারেন।
জানা গিয়েছে সিএবি-র কাছে “এনওসি”-ও চেয়ে পাঠিয়েছেন ঋদ্ধিমান। কিন্তু কোন অপমানের কথা বলছেন ঋদ্ধিমান? কি হয়েছিল তার সাথে? কয়েক মাস আগে যখন ঋদ্ধিমান সাহা-কে সরিয়ে শ্রীকর ভরত-কে ভারতের টেস্ট দলের উইকেটরক্ষক করা হয়েছিল সেই সময় নিজের কিছু ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে বাংলার হয়ে রঞ্জি ট্রফির গ্রূপ পর্ব না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। ঠিক তখনই ঋদ্ধিমান সাহার দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন সিএবি যুগ্মসচিব দেবব্রত দাস। আর এই ব্যাপারেই চূড়ান্ত অপমানিত বোধ করছেন ঋদ্ধিমান। ১৫ বছর ধরে দেশ এবং রাজ্যের হয়ে ক্রিকেট খেলার পর এই জাতীয় অভিযোগ সহ্য করতে নারাজ তিনি।
যদিও সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া জানিয়ে দিয়েছেন যে গোটা বক্তব্যটি দেবব্রত বাবুর নিজস্ব ছিল, তাতে সিএবি-র কোনও দায় নেই। কিন্তু তাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার নয়। এই মুহূর্তে ৩৭ বছর বয়সী উইকেটরক্ষক গুজরাট টাইটান্সকে আইপিএল জেতানোর লক্ষ্য নিয়ে ব্যস্ত। তিনি তাই এখন এইদিকে মনোযোগ দেবেন না। তবে শোনা যাচ্ছে আইপিএল শেষ হলেই এই নিয়ে ঋদ্ধির সাথে বৈঠকে বসবেন সিএসবি কর্তারা।
চলতি মরশুমের শুরুর দিকে তাকে ব্রাত্য করে রাখা হয়েছিল গুজরাট দলে। পরপর পাঁচটি ম্যাচে তিনি বেঞ্চে বসে ছিলেন। তার জায়গায় বিশ্বকাপ জয়ী উইকেটরক্ষক ম্যাথু ওয়েড-কে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল যিনি উল্লেখযোগ্য কিছু প্রমাণ করতে পারেননি। তারপর ঋদ্ধিকে সুযোগ দেওয়া হলে তিনিও প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হন। কিন্তু তারপর থেকে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও গতকাল চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে অর্ধশতরান সহ ৮ ম্যাচে ২৮১ রান করে সমালোচকদের যোগ্য জবাব দিয়েছেন। পাওয়ার প্লে-তে তার স্ট্রাইক রেট ১৫০-র ওপরে! যদি সত্যি তিনি বাংলা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন,তাহলে তা সিএসবির পক্ষে লজ্জাজনক ব্যাপার হবে।