বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে (Corona)হাহাকার দেশজুড়ে। স্বজন হারানোর কান্না। অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ছেন শয়ে শয়ে নিরাপরাধ মানুষ। হাসপাতালের বেডে বা বাইরে তিলে তিলে স্তব্ধ হচ্ছে এক একটি প্রাণ। শ্বশানে নীরবতার জো নেই, জ্বলছে একের পর এক আগুন। কোভিডে মৃতের দেহ জমে জমে তো দেশের একাধিক জায়গায় স্তুপ হচ্ছে। এরাজ্যের অবস্থাও বেগতিক।
এবার মারণ ভাইরাসের শিকার হয়ে প্রাণ হারালেন বাংলার বিখ্যাত সাহিত্যিক অনীশ দেব (Anish Deb)। সম্প্রতি শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাঁকে কলকাতার এক নামি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানেই করোনা পরীক্ষা হলে তা ইতিবাচক আসে। তারপরই অবনতি হতে থাকে শারীরিক অবস্থার। শেষে চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে আজ, বুধবার সকাল ৭টা নাগাদ তিনি পরলোক গমণ করেন। কবি শঙ্খ ঘোষের (Sankha Ghosh) পর এই আরও এক বাংলার সাহিত্যজগতে নক্ষত্রপতন।
পরিবারের তরফে জানানো হয়, বেশ কয়েকদিন ধরে অসুস্থ বোধ করছিলেন এই প্রবীণ সাহিত্যিক। তখন হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই এই প্রবীণ লেখকের জটিলতা আরও বাড়তে থেকে। তাঁকে রক্তও দেওয়া হয়। তবে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তিনি আজ ৭০ বয়সেই প্রয়াত হন। তাঁর মৃত্যুতেও বাংলা সাহিত্য জগতে তৈরি হল শূন্যতার। সাহিত্যিক অনীশ দেব (Anish Deb) জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৯৫১ সালে। মাত্র প্রায় ১৮ বোকার বয়স থেকেই তিনি লেখালেখি শুরু করেন।
তবে বাবার মৃত্যুতে ভেঙে না পড়ে মেয়ে মোনালিসা চেষ্টা করছেন পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর। অনীশবাবুর মেয়ে জানান, ‘বাবা কোভিড পজিটিভ হলে শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে থাকে। প্লাজমার প্রয়োজন ছিল। পরিচিতদের মাধ্যমে তারও বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও বাবাকে বাঁচানো গেল না।’