বাংলাহান্ট ডেস্ক : সম্প্রতি ২০১৮-২০২১ স্নাতক শিক্ষাবর্ষের বিএ বিভাগের ফলাফল প্রকাশ করেছে মুঙ্গের বিশ্ববিদ্যালয়। আর তাতেই সামনে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা দপ্তরের চুড়ান্ত গাফিলতির ছবি। স্নাতক পরীক্ষার তিনটি পার্ট মিলিয়ে এক পরীক্ষার্থীকে দেওয়া হয়েছে ৮০০ এর মধ্যে ৮৬৮ নম্বর। অপর আর এক পরীক্ষার্থী পার্ট থ্রি এর অনার্স বিষয়ের পেপার ৫ এ মোট ১০০ নম্বরের বদলে পেয়েছেন ৫৫৫ নম্বর।
এখানেই শেষ নয়, ওই শিক্ষার্থীকে রেজাল্টে দেওয়া হয়েছিল মোট নাম্বারের ১০৮.৫%। আরও চাঞ্চল্যকর বিষয় এই যে, সেই চূড়ান্ত ভুল রেজাল্টের ট্যাবুলেশন রেজিস্টার কপিটি আপলোডও করা হয়েছে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে।
জম্মুর কেকেএম কলেজের ইতিহাস অনার্সের শিক্ষার্থী দিলীপ কুমার শাহকে (রোল নাম্বার ১১৮০৪০০৭৩) পার্ট থ্রি এর পেপার ৫ এ ১০০ এর মধ্যে ৫৫৫ নম্বর দেওয়া হয়েছে। ফলস্বরূপ তাঁর মোট নম্বর হয়ে দাঁড়িয়েছে ১১৩০। তার চেয়েও বিস্ময়কর ব্যাপার এই যে ওই পড়ুয়া সর্বোচ্চ নম্বরের ১০৮.৫% নম্বর পেয়েছেন ওই পরীক্ষায়।
একাধিই প্রযুক্তিগত ত্রুটি এবং ভুল ছাপার কারণে দাবি করা দিনে রেজাল্টগুলি দ্বিতীয়বার ছাপিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি কলেজের পক্ষে। কিন্তু চাঞ্চল্যকর বিষয় এটিই যে ওই ভুল রেজাল্টটিই পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এবং উপাচার্যের অনুমোদন পেয়েছিল। যদিও এই ভুলগুলির ব্যাপারে মোবাইল ফোন মারফত খবর পেয়েছিলেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. রামাশিস। এহেন ত্রুটির কারণে তাঁকে কৈফিয়ত দিতেই হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর। স্বভাবতই এহেন ঘটনার জেরে তীব্র চাঞ্চল্য এবং শোরগোল ছড়িয়েছে দেশ জুড়েই। বিশ্ববিদ্যালয় এহেন গাফিলতি করলে কোথায় দাঁড়িয়ে পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ? উঠছে প্রশ্ন।