বাংলাহান্ট ডেস্ক : একাধিক প্রশ্নের মুখে চিনের কমিউনিস্ট সরকার (CPC)। জিরো কোভিড নীতি প্রত্যাহার করে কি ভুল করল চিন সরকার? তবে এই নীতি স্বেচ্ছায় প্রত্যাহার করেনি চিন (China)। সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ-প্রতিবাদের মুখে পড়েই করোনাবিধি শিথিল করতে বাধ্য হয় চিন প্রশাসন। কিন্তু করোনাবিধি শিথিল করার পর থেকেই রীতিনতো কোভিড বিস্ফোরণ শুরু হয়েছে ড্রাগনের দেশে। আর এর জেরেই টলমল রাষ্ট্রপতি জিনপিং-এর সিংহাসন।
চিনের এই ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণের মাঝেই আরও একটি আশংকার কথা জানাল একটি রিপোর্ট। লন্ডনের একটি স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে এখনই যদি কঠোর পদক্ষেপ না করে চিনা সরকার, তবে ২০২৩ সালে চিনে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০ লক্ষ হতে পারে। এপ্রিল মাসের মধ্যে মৃতের সংখ্যা ৩ লক্ষ ২২ হাজার জনের মৃত্যু হতে পারে। করোনা টিকাকরণ ও বুস্টার ডোজ়ের হার কম হওয়ার কারণেই নাগরিকদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তৈরি হয়েছে।
একদিকে করোনার বিধিনিষেধ আরোপে বিপর্যস্ত স্বাভাবিক জনজীবন। অপরদিকে দিকে একদিনে সাড়ে তিন কোটিরও বেশি মানুষ। এই উভয় সংকটে নাজেহাল অবস্থা জিনপিং সরকারের। প্রাক্তন কূটনীতিক দীপক ভোরা সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘চিনের অবস্থা সত্যিই খারাপ। গত বছর যখন আমরা করোনার সঙ্গে লড়াই করছি তখন চিন আমাদের কটাক্ষ করার সুযোগ ছাড়েনি। কিন্তু বাস্তব হল, ভারতে নীতি নির্ধারণ করা হয় বিশেষজ্ঞ মহলের সঙ্গে আলোচনা করে। অপরদিকে চিনে ১৪০ কোটির দেশবাসীর ভাগ্য ন্যাস্ত থাকে একজনের হাতেই। তাই চিন যে মারাত্মক সমস্যায় তা বলাই যায়।’
অপর এক কূটনীতিবিদ এসডি মুন্সি জানান, ‘চিন তাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যাকে ঢাকা দিতে ভারত সীমান্তে ঝামেলা করে। ভারত সীমান্তে বা তাইওয়ান-এ চিন যা করছে তা নতুন কিছু নয়। অতীতেও ড্রাগনের দেশ এমনই করেছে বহু বার। কিন্তু জিনপিং-এর নীতি এখন মারাত্মক ভাবেই সমালোচিত হচ্ছে চিনে। এমনকি তাঁর নিজের দলেও তাঁর বিরোধিতা শুরু হয়ে গেছে মারাত্মক ভাবে।’