বাংলাহান্ট ডেস্ক: নেপোটিজম শুধু বলিউডে নয়, দক্ষিণেও রয়েছে প্রচুর মাত্রায়। তামিল, তেলুগু ইন্ডাস্ট্রির বহু প্রথম সারির তারকা বংশ পরম্পরায় সিনেজগতে রয়েছেন। কিন্তু স্বজনপোষণের এত বাড়বাড়ন্তের মধ্যেই কয়েকটি নাম এমনো রয়েছে যারা সম্পূর্ণ নিজের যোগ্যতায় এবং পরিশ্রমে কাঙ্খিত উচ্চতায় এসে পৌঁছেছেন। এদের মধ্যেই একজন হলেন যশ (Yash)।
কেজিএফ চ্যাপ্টার ১ এবং ২ এর দৌলতে ভারত জোড়া খ্যাতি কন্নড় তারকার। কিন্তু তিনিও শুরু করেছেন শূন্য থেকে। ফিল্মি ব্যাকগ্রাউন্ড ছিল না যশের। যা করেছেন সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা এবং মনের ইচ্ছায়। কেরিয়ারের শুরুতে একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট পরিচালক হিসাবে কাজ করতেন যশ, যার কাজ ছিল পরিচালকদের জন্য চা সিগারেট নিয়ে আসা।
এক সাক্ষাৎকারে যশ নিজেই এ কথা জানিয়েছিলেন। যেকোনো বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিতে অ্যাসিস্ট্যান্ট পরিচালকের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করা হয় সেটা সবাই জানে। পরিচালনার কাজ ছাড়া বাকি সমস্ত রকমের কাজই তাদের দিয়ে করানো হয়। যশ বলেন, “আমাকে বলা হত পরিচালকদের জন্য খাবার, চা, সিগারেট নিয়ে আসতে। আমার সত্যিই আত্মসম্মানে লাগত। নিজেকে নিজে প্রশ্ন করতাম, ‘আমার কি এগুলো করা উচিত?'”
কিন্তু ব্যর্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যেতে চাননি যশ। তিনি বলেন, ওই রকম পরিস্থিতিতে অনেকেই হাল ছেড়ে দেয়। কিন্তু তিনি হার মানেননি। কম অপমান সইতে হয়নি দীর্ঘ সফরে। পরিচালক এবং সিনিয়র অভিনেতাদের সঙ্গে এক টেবিলে খেতে বসলে যশের দিকে অস্বস্তিকর ভাবে তাকিয়ে থাকতেন তাঁরা। দৃষ্টিতেই বোঝানো হত যে তাঁর জায়গা ওখানে নয়।
তবে এই অপমানগুলোই আরো দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এবং শক্ত করে তুলেছিল যশকে। আজ তিনি আকাশছোঁয়া সাফল্য পেয়েছেন ঠিকই, কিন্তু ফেলে আসা দিনগুলোকে ভোলেননি যশ। এখনো মাটির কাছাকাছি থাকতেই ভালবাসেন তিনি। কন্নড় ইন্ডাস্ট্রির সবথেকে নম্র এবং ভদ্র অভিনেতা বলেও আলাদা জনপ্রিয়তা আছে যশের।