বাংলা হান্ট ডেস্ক: একটা ওভারই বদলে দিয়েছিল দুই খেলোয়াড়ের জীবন। যেখানে একজন কোটি কোটি মানুষের ভালোবাসা পেয়ে উঠে এসেছিলেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। অপরদিকে আরেকজন ডুবে গিয়েছিলেন বিষণ্ণতার গভীরতায়। মূলত, গত বছরের IPL (Indian Premier League)-এ কলকাতা নাইট রাইডার্সের রিঙ্কু সিংয়ের (Rinku Singh) কাছে পর পর পাঁচ বলে পাঁচটি ছক্কা খেয়েছিলেন গুজরাত টাইটান্সের বোলার যশ দয়াল (Yash Dayal)। যার ফলে হারতে হয়েছিল তাঁর দলকে। আর তারপরেই রিঙ্কু আলোচনার শীর্ষে উঠে এলেও সমাজমাধ্যমে লাগাতার হেনস্থার শিকার হতে হয়েছিল যশকে।
এমনকি, পরিস্থিতি এতটাই বেগতিক হয়ে গিয়েছিল যে, ওই ধাক্কায় রীতিমতো খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন যশের মা। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, চলতি মরশুমে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলছেন যশ। এমতাবস্থায় গত মরশুমের ওই আলোচিত ম্যাচের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ওই ম্যাচের পরে ড্রেসিং রুমে আমাকে কেউ ওই ওভার নিয়ে একটাও কথা বলেনি। আসলে, সবাই এমন ভাব করছিল যেন কিছুই হয়নি। আশিস নেহরা ভাই আমাকে ডেকে বলেন, ওই ওভারের কথা ভুলে সামনের দিকে তাকাতে। কিন্তু সেদিন আমার মা খুব কষ্ট পেয়েছিল। এমনকি, বেশ কয়েক দিন খাওয়া-দাওয়াও বন্ধ করে দিয়েছিল।”
এদিকে, দলের সতীর্থেরা কিছু না বললেও সমাজমাধ্যমের বুকে তাঁকে হতে হয় চরম হেনস্থার শিকার। ওই বাঁ হাতি পেসার আরও বলেন যে, “দলের সিনিয়র ক্রিকেটারেরা আমাকে বলেছিল, সমাজমাধ্যমের দিকে না তাকাতে। আমার সেটাই করা উচিত ছিল। কিন্তু আমি তা শুনিনি। দেখতাম সমাজমাধ্যমে আমাকে লাগাতার হেনস্থা করা হত। তখন খুব কষ্ট পেতাম।”
আরও পড়ুন: কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের পাশে সৌদি আরব! পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে কথা শোনালেন ক্রাউন প্রিন্স
এদিকে, তাঁকে পাঁচ ছক্কা মারার “নায়ক” তথা KKR-এর তারকা খেলোয়াড় রিঙ্কুর ওপরে তাঁর কোনো রাগ নেই বলেও জানিয়েছেন যশ। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁরা দু’জনেই উত্তরপ্রদেশের হয়ে খেলেন। এমতাবস্থায়, ওই ম্যাচের পরে রিঙ্কু তাঁকে ফোন করে ভরসা দিয়ে জানিয়েছিলেন, তাঁদের বন্ধুত্বে কোনো প্রভাব পড়বে না। আর রিঙ্কুর ওই প্রস্তাব মেনে নিয়েছিলেন যশ।
আরও পড়ুন: ভারতের বিরুদ্ধে “টার্গেট কিলিং”-এর অভিযোগ পাকিস্তানের, মুখ খুলল আমেরিকাও
তবে সেই ওভার থেকে অনেক শিক্ষা পেয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে যশ বলেন, “ওই একটা ওভার আমাকে অনেক কিছু শিখিয়ে দিয়েছে। তারপর থেকে আমি এখনও কোনো ম্যাচে নামার আগে ভালো করে প্রস্তুতি নিয়ে যাই। প্রত্যেক ব্যাটারের বিরুদ্ধে নিজস্ব একটা পরিকল্পনা করি। পাশাপাশি, কঠিন পরিস্থিতি এলে কীভাবে তার মোকাবিলা করতে হবে সেই শিক্ষাও আমি পেয়েছি।”