বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আজ গোটা দেশ জুড়ে সর্বপ্রথম নাগরিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে চলেছে। দেশে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের (President Election) জন্য সাংসদ এবং বিধায়ক মিলিয়ে প্রায় ৪ হাজার ৮০০ জন ভোট দেবেন, যার ফল ঘোষণা আগামী ২১ শে জুলাই হতে চলেছে। ইতিমধ্যে ভোটদান প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে এবং বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত তা চলবে বলে খবর। তবে এর মাঝেই কেন্দ্রে মোদী সরকারকে (Modi Government) নজিরবিহীন আক্রমণ করে বসলেন বিরোধীদের পদপ্রার্থী যশবন্ত সিনহা (Yashwant Sinha)। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ‘টাকার খেলা’ চলছে বলে দাবি যশবন্তের।
বর্তমানে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘিরে সরগরম হয়ে রয়েছে দেশের রাজনীতি। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এই ভোটকে হাতিয়ার করে ঝাঁপিয়ে পড়েছে কেন্দ্র এবং বিরোধী শিবির। একদিকে বিজেপি সরকারের প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু, আবার অপরদিকে বিরোধী শিবিরের তুরুপের তাস যশবন্ত সিনহা। অতীতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে ভোটদানের আবেদন জানান সকলেই। তবে ইতিমধ্যে বিজেপি প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর জয়লাভ একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। এক্ষেত্রে একদিকে যেমন বিজেপির সাংসদ এবং বিধায়ক সংখ্যা বেশি তো আবার বিজেডি, বিএসপি, শিরোমনি আকালি দল এবং শিবসেনার মতো আঞ্চলিক দলগুলিও বিজেপির পদপ্রার্থীকে সমর্থন করার কথা ঘোষণা করেছেন। তবে শেষ মুহূর্তেও হার মানতে নারাজ যশবন্ত সিনহা।
এদিন ভোটদান প্রক্রিয়ার শুরুর কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসেন তিনি। মোদি সরকারকে কটাক্ষ করে যশবন্ত বলেন, “টাকার খেলা চলছে, ভোট নিজেদের দিকে টানার জন্য টাকার নোংরা খেলা চলছে আর এসকল হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলিকে ভেঙে দেওয়ার জন্য। জোর করে ভোট দিতে বাধ্য করা হচ্ছে।”
স্বভাবতই, তাঁর এই মন্তব্যের পর গোটা দেশ জুড়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। প্রসঙ্গত, এদিন ভোট দিতে এসে অবশ্য বাংলা থেকে যশবন্ত সিনহার জয়ের ব্যাপারে মত প্রকাশ করেন তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম। ‘ক্রস ভোটিং’-এর জল্পনা উস্কে দিয়ে তিনি বলেন, “বিজেপির বহু নেতা-নেত্রীরা বিরোধীদের প্রার্থীকে ভোট দিতে চলেছে।” যদিও তাঁর সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি। তবে অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগ মাঝে শেষ হাসি কে হাসে, তা দেখার অপেক্ষায় সকলে।