বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (President Election) আসন্ন আর এর পূর্বেই জয়লাভের উদ্দেশ্যে শাসক এবং বিরোধীদের পদপ্রার্থীরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে প্রচার করে চলেছেন। একদিকে যখন উত্তরপ্রদেশ (Uttarpradesh), গুজরাট (Gujrat) সহ সম্প্রতি বাংলায় (West Bengal) পদার্পণ করেন বিজেপির (BJP) পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। তারপর অপরদিকে, প্রচারে কোনরকম ফাঁক রাখতে নারাজ বিরোধীদের তুরুপের তাস যশবন্ত সিনহা (Yashwant Sinha)।
এর মাঝে গতকাল বিহারে প্রচার করতে পৌঁছান প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ যশবন্ত সিনহা। তবে বিহারে পৌঁছেই বেজায় চটলেন তিনি। এক্ষেত্রে দেখা করা তো দূরের কথা, বারংবার ফোন করা সত্ত্বেও তা তোলেননি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার আর তাঁর এই আচরণে ক্ষুব্ধ হয়েছেন যশবন্ত। উল্লেখ্য, বিহারে বিজেপির সঙ্গে জোট সরকার রয়েছে নীতীশের জনতা দলের। গত নির্বাচনে লালু প্রসাদ যাদবের দলকে হারিয়ে বিহারে ক্ষমতায় আসেন নীতীশ কুমার। তবে বর্তমানে বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর সঙ্গে তাঁর এহেন আচরণের বিরুদ্ধে সমালোচনা সরব হয়েছে বিভিন্ন মহল।
সম্প্রতি বিজেপি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু বিহারে এলে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী। অথচ যশবন্ত সিনহার সঙ্গে দেখা করা কিংবা ফোনে জবাব কোনটাই দেননি তিনি আর এ সকল কারণে তাঁকে অসম্মান করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন যশবন্ত সিনহা। গতকাল তিনি বলেন, “রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আসন্ন আর সেই কারণে বিভিন্ন রাজ্যে গিয়ে সেখানকার নেতা-নেত্রীদের সমর্থন চাইছি। একইভাবে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকেও আমি একাধিকবার ফোন করি। কিন্তু তার জবাব উনি দেননি। হয়তো আমার স্ট্যাটাস ওনার থেকে অনেকটাই নীচু। সেই কারণে একবার কথা বলাও প্রয়োজন মনে করেননি।”
এছাড়াও যশবন্ত সিনহা বলেন, “বাকি নেতা-নেত্রীদের উদ্দেশ্যে যা বলেছি, নীতীশকেও তাই বলতাম। সম্প্রতি নিজের রাজ্যের মেয়ে দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করেন উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। আমিও বিহারের ছেলে, তাহলে আমাকে কেন সমর্থন করা হবে না। এক্ষেত্রে বিহারের কথা ভাবা উচিত নীতীশ কুমারের।”