বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফাঁসি নাকি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড? শেষ পর্যন্ত কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিকের বিরুদ্ধে এদিন কী রায় ঘোষণা করে আদালত, সেদিকেই তাকিয়ে ছিল গোটা দেশবাসী। জঙ্গিদের আর্থিক সাহায্য, রাষ্ট্রদ্রোহ এবং সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগে ইয়াসিনের বিরুদ্ধে এনআইএ অবশ্য প্রথম থেকেই মৃত্যুদণ্ডের দাবি করে এসেছিল। তবে এদিন আদালতের পক্ষ থেকে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়।
ইয়াসিন মালিকের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করে NIA। আজ সেই মামলাটির শুনানি ছিল এনআইএর বিশেষ আদালতে। শেষ পর্যন্ত তার ফাঁসি হয় কিনা, সে দিকে এদিন তাকিয়ে ছিল গোটা দেশ। শুনানি চলাকালীন এদিন ইয়াসিন জানায়, “বুরহান ওয়ানি খুনের 30 মিনিটের মধ্যে আমি গ্রেফতার হই। কিন্তু আমি কোন অপরাধী নই। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপায়ী আমাকে পাসপোর্ট দিয়েছিলেন।”
এদিন অবশ্য রায় হিসেবে ফাঁসি এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মধ্যে যেকোনো একটি নিশ্চিত ছিল আর তা জানতে পেরেই আদালতের কাছে ইয়াসিন মালিক দাবি করে, “1984 সালের পর থেকে আমি অস্ত্র ছেড়ে দিই। এরপর থেকে আমি অহিংসার পথ বেছে নিই এবং কোন রকম হিংসাত্মক কাজেও নিজেকে যুক্ত করি নি। এর মাঝে আমি দেশের 7 জন প্রধানমন্ত্রীর সময়ে রাজনীতি করেছি। এনআইএ যদি প্রমাণ করতে পারে যে, এই সময় আমি কোনরকম সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সাথে যুক্ত ছিলাম, তাহলে আমি রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার পাশাপাশি মৃত্যুদণ্ড স্বীকার করে নেব।”
প্রসঙ্গত, এদিন দিল্লির বিশেষ আদালতে এই শুনানি চলাকালীন সুদূর কাশ্মীরের বিভিন্ন প্রান্তে পাথর ছোড়া সহ একাধিক হিংসাত্মক ঘটনা সামনে আসে। এরপরই অবশ্য সেনাদের তরফ থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয় বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, কাশ্মীরি পণ্ডিতদের বিতাড়িত করার পাশাপাশি ভারতীয় বায়ুসেনার বেশকিছু অফিসারকে হত্যা, সন্ত্রাসবাদীদের আর্থিক সহায়তা এবং তাদের কার্যকলাপে সাহায্য করার মতো একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয় ইয়াসিনের বিরুদ্ধে আর সেই মামলার শুনানিতে অবশেষে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হলো তার।