বাংলা হান্ট ডেস্ক : যোগি আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) পথ ধরে চললেই তবে হিংসা থামানো যেতে পারে ফ্রান্সে! শুক্রবার থেকেই সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল প্রচার। এ বার এই মতকে সমর্থন করল উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মুখ্যমন্ত্রীর দফতর! শনিবার যোগির সরকারের টুইটারে লেখা হয়, ‘যখনই চরমপন্থা ইন্ধন দেয় দাঙ্গায়, সৃষ্টি হয় বিশৃঙ্খলা, বিশ্বের যে কোনও অংশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সঙ্কট তৈরি হয়, তখনই বিশ্ব ‘যোগি মডেলের’ শরণাপন্ন হয়। উত্তরপ্রদেশে আইনশৃঙ্খলার প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে মহারাজ সেটি তৈরি করেছেন।’
উত্তরপ্রদেশে গোষ্ঠীহিংসা থামাতে ‘বুলডোজ়ার নীতি’ নির্বিচারে প্রয়োগ করে যোগি সরকার। বিচারের আগেই অভিযুক্তদের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বুলডোজ়ার চালিয়ে। অভিযোগ, যে বাড়িগুলি ভাঙা হচ্ছে তাদের মালিক বা মালিকের পরিবারের সদস্যেরা মূলত একটি বিশেষ ধর্মীয় সম্প্রদায়ের। এই ঘটনাকে ‘সংবিধানের প্রহসন’ বলে চিহ্নিত করে মামলাও দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি টুইটার হ্যান্ডল সেই বিচারাধীন বিষয় নিয়েই সওয়াল করায় উঠেছে নতুন প্রশ্ন।
গত মঙ্গলবার রাজধানী প্যারিসের উপকণ্ঠে নঁতের এলাকায় ট্র্যাফিক আইন ভাঙার অভিযোগে ১৭ বছরের কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ নাইলকে ফরাসি পুলিশ গুলি করে খুন করে বলে অভিযোগ। তার পর থেকেই সে দেশের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে হিংসা। হিংসার ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় ৩০০ পুলিস আধিকারিক। প্রায় ৫০০টি সরকারি ভবনে হামলা হয়েছে। ধ্বংস হয়েছে কয়েক কোটি ডলারের সম্পত্তি। প্রায় ৯০০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। পরিস্থিতির মোকাবিলায় সেনা মোতায়েন করতে হয়েছে ফ্রান্সের বিভিন্ন শহরে।
রক্তক্ষয়ী হিংসা রুখতে যাবতীয় দিক আলোচনা করে দেখা হচ্ছে। এমনই জানাল ফ্রান্স সরকার। তবে ঠিক কী কী বিষয় পর্যালোচনা করা হচ্ছে, তা স্পষ্টভাবে জানানো হয়নি। তবে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ স্পষ্ট করে দিয়েছেন, আপাতত জরুরি অবস্থা জারি করা হচ্ছে না।
অবশ্য পুলিসের গুলিতে আলজারিয়া এবং মরক্কোর বংশোদ্ভূত এক কিশোরের মৃত্যুর ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পরে ফ্রান্সে যে হিংসা ছড়িয়েছে, তা কার্যত ফ্রান্স সরকারের হাতের বাইরে বেরিয়ে গিয়েছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় বাড়ি, বাস, গাড়ি। নির্বিচারে অসংখ্য দোকানে লুটপাঠ চলেছে। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। আহত হন ২০০-র বেশি পুলিস আধিকারিক।