প্রথমত জানিয়ে দি, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ রাজনীতিতে আসার পেছনে একটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো রাম মন্দির। যোগী আদিত্যনাথ মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার আগেই বলেছিলেন যে তার জীবনে একটা বড়ো উদেশ্য হলো রাম মন্দির নির্মাণ। যোগী আদিত্যনাথের গুরুদেবও রাম মন্দির নির্মাণের জন্য সংঘর্ষ করেছিলেন। আর যোগী আদিত্যনাথও সেই পথেই নেমেছিলেন।
যোগী আদিত্যনাথ একজন মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সাথে সাথে একজন যোগী সন্ন্যাসী। উনি উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের এক সভায় বলেছিলেন যদি আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসে তবে রাম মন্দির হওয়া নিয়ে কোনো সন্দেহ থাকবে না।এখন আদালত রামমন্দিরের উপর রায় শুনিয়ে দিয়েছে। আদালত অযোধ্যায় বিতর্কিত স্থানে মন্দির নির্মাণ করার অনুমতি দিয়েছে একইসাথে মুসলিমদের জন্য আলাদা জমি প্রদান করতে বলেছেন।
রামমন্দিরের রায় শোনার পরেই সকল দেশবাসী উল্লসিত হয়েছিল। আর এখন খবর আসছে যে আদালতের রায় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ খবরে শুনেছিলেন। রায় শোনার সাথে সাথে যোগী আদিত্যনাথ আবেগপ্রবন হয়ে পড়েন। উনি আদালতের রায় শুনে বহুক্ষণ ধরে তালি বাজান।
রায় আসার সাথে সাথে চারিদিক থেকে যোগী আদিত্যনাথের কাছে অভিনন্দন আসতে থাকে। সূত্রমতে, সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বার্তাটি ছিল সংঘের প্রধান মোহন ভাগবত নিজেই। সংঘের প্রধান মোহন ভাগবত এবং অন্যান্য প্রবীণ সংঘের নেতা সুরেশ ভাইয়া জিয়া যোশি, কৃষ্ণগোপাল, দত্তাত্রেয় হোসাবলে যোগী আদিত্যনাথকে ডেকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আন্তর্জাতিক সাধারণ সম্পাদক দীনেশ জি যোগী আদিত্যনাথকে বলেছিলেন যে রাম মন্দির মুখ্যমন্ত্রীর গুরুদের দুই প্রজন্মের কঠোর পরিশ্রমের ফল।
আগের রাতে যোগী আদিত্যনাথ দীর্ঘ সময় জেগে ছিলেন। তিনি অযোধ্যা সম্পর্কিত বিষয়গুলি পর্যবেক্ষণ করছিলেন এবং প্রতিটি কমিশনার এবং এডিজির সাথে তাঁর যোগাযোগ ছিল। সারা রাত ধরে সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে সক্রিয়ভাবে আলোচনা করছিলেন।