বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, যদি কোন ব্যাক্তি অথবা গো-পালক গরুদের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যান, তাহলে তাঁকে গোসেবা আয়োগ থেকে একটি পরিচয় পত্র দেওয়া হবে। আর তাঁকে সুরক্ষা ব্যাবস্থার দ্বায়িত্ব পালন করতে হবে, যাতে মব লিঞ্চিং এর মতো ঘটনা না ঘটে।
উনি এও বলেন যে, গোসেবা আয়োগ লুকিয়ে চুরিয়ে হওয়া গোরু পাচার থামানোর জন্য যেন পদক্ষেপ নেয়। গোশালা গুলোতে গোরুদের বেঁধে রাখার পরিবর্তে তাঁদের যেন গোশালা গুলোতে ছেড়ে রাখা হয়। আয়োগ কে শুধু নিরাশ্রিত গোরুদের জন্যই পয়সা দেওয়া হবে। পশুধন বিভাগ আয়োগের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি পয়সা পাঠিয়ে দেবে।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ অন্ন প্রথা সমাপ্ত করার জন্য গোশালা গুলোকে আত্মনির্ভর বানানোর দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ গোসেবা কমিশনের পদাধিকাররা অবহেলা করার জন্য ওনাদের তীব্র ভৎসনা করেন। এর সাথে সাথে কমিশনের বেসরকারি সদস্য এবং সভাপতির কার্যকাল তিন বছর পর্যন্ত করার নির্দেশ দেন।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, গোসেবা কমিশনের সভাপতি এবং সদস্যরা জেলায় জেলায় গিয়ে গোশালা স্থল গুলোর নির্মাণের স্থিতি ঠিক করার কাজ করবে। কমিশনের পদাধিকারদের সমস্ত প্রোটোকল মেনে চলতে হবে। এলাকা পরিদর্শনের সময় প্রধান পশু চিকিৎসক এবং অফিসার ওনাদের সাথে থাকবে।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, যদি কোন কৃষক দুটি গোরু রাখে, তাহলে সরকার সেই কৃষকের প্রতিটি গোরুর জন্য প্রতি দিন ৩০ টাকা করে দেবে। যোগী সরকারের এই প্রক্লপ এখন শুধুমাত্র বুন্দেলখণ্ডে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে চালানো হচ্ছে।