বাংলা হান্ট ডেস্ক: সরস্বতী পুজোর দিন সকাল সকাল জ্ঞানবাপী মসজিদে (Gyanvapi Masjid) পৌঁছে গেলেন ইউপি প্রধান যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। আদালতের নির্দেশে যেখানে নিত্য পুজো হচ্ছে সেখানে পুজোও দিলেন তিনি। ঘুরে দেখলেন জ্ঞানবাপীর বিতর্কিত অংশটিও। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী পৌঁছে গেলেন কাশী বিশ্বনাথের মন্দিরেও।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জ্ঞানবাপী মসজিদে পুজো শুরু হওয়ার পর এই প্রথম বারাণসী গেলেন যোগী আদিত্যনাথ। সেখানে পুজো অর্চনা সম্পন্ন করার পর তিনি পৌঁছে যান কাশী বিশ্বনাথের মন্দিরে। মসজিদের ভেতর তালাবন্ধ বেসমেন্টের হিন্দু দেব দেবীর মূর্তিগুলিও ভালো করে নিরীক্ষণ করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
গত মাসেই অযোধ্যার বহু বিতর্কিত রাম মন্দিরে রামলালার মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছে। তবে যোগী আদিত্যনাথ মনে করেন, তাতেই যথেষ্ট ন্যায় হয়নি। তিনি বলেন, ‘আমরা সংকল্প নিয়েছিলাম, মন্দির ওয়াহি বানায়েঙ্গে। সেই সংকল্পকে বাস্তবে রূপ দিয়েছি আমরাই। অযোধ্যার সঙ্গেই কাশী এবং মথুরা চেয়েছিলাম। এখনও সেটাই চাইছি। এগুলো কোনও সামান্য স্থান নয়।’
আরও পড়ুন : হাইকোর্টের ধমকের পরেও শোধরাল না পুলিস! সন্দেশখালি নিয়ে নয়া চাল, ঘুর পথে জারি ১৪৪ ধারা
যোগী আদিত্যনাথের সংযোজন, ‘ভগবান কৃষ্ণকে বন্দি বানিয়ে রাখার প্রয়াস করা হচ্ছে মথুরায়। কাশীতেও নন্দী বাবা প্রকট হয়ে গিয়েছেন। দুর্যোধন যেমন পাঁচটি গ্রামও পাণ্ডবদের দিতে চাননি, তেমনটাই হচ্ছে। পাণ্ডবদের সঙ্গে অন্যায় হয়েছিল। তাও ওঁরা তো পাঁচটি গ্রাম চেয়েছিলেন। আমরা কেবল দু’টি স্থান চাইছি। আমাদের পরবর্তী টার্গেট কাশী এবং মথুরা। অযোধ্যা একটি ঝলক ছিল।’