বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন উপলক্ষে মালদহ জেলায় আজ প্রথম জনসভা করেন। আজ যোগীর নিশানায় প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত রাজ্যের তৃণমূল সরকার ছিল। যোগী আদিত্যনাথ অভিযোগ করে বলেন, ‘বাংলায় জয় শ্রী রাম স্লোগান দেওয়া থেকে রোখা হয়। উত্তর প্রদেশে যেই সরকার রামভক্তদের উপর গুলি চালানো করিয়েছিল, সবাই জানে তাঁদের কি অবস্থা হয়েছে।”
উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজ বাংলায় অরাজকতা চলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবকিছু জেনেও চুপচাপ রয়েছেন। যখন পাকিস্তান আর বাংলাদেশের প্রতারিত হিন্দু আর বাকি সংখ্যালঘুদের বাঁচানোর জন্য আইন বানানো হয়, তখন বাংলায় দাঙ্গা হয়ে যায়। এখানকার সরকার অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের সঙ্গে আছে। বাংলায় লাভ জিহাদের ঘটনা বেড়ে চলেছে। বাংলার মমতা সরকার গরুপাচার রুখতে ব্যর্থ। এই সরকার অপরাধীদের সংরক্ষণ দেয়।”
যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘৫ আগস্ট ২০২০ থেকে অয্যোধ্যায় ভব্য রাম মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। রাম মন্দির নির্মাণের জন্য আপনাদের সহযোগিতা প্রাপ্ত হয়েছে। এরজন্য বাংলায় বিজেপি সরকার আনার দায়িত্বও আপনাদের।” যোগী বলেন, বাংলায় এক মাসের মধ্যে পরিবর্তন দেখা দেবে। বাংলার এক বৃদ্ধা মাকে তৃণমূলের গুণ্ডারা পিটিয়েছে। কিন্তু সরকার কোনও অ্যাকশন নেয়নি। নিমতায় বিজেপির কর্মীর আহত মায়ের কথা উল্লেখ করার সময় যোগীর চোখ দিয়ে জল বেরিয়ে আসে। যোগী বলেন, ২ মে’র পর তৃণমূলের গুন্ডারা প্রাণ ভিক্ষা চাইবে আর গলায় পাট্টা ঝুলিয়ে ক্ষমা চাইবে।”
যোগী বলেন, বাংলাকে তৃণমূল আর কমিউনিস্ট পার্টিরা বরবাদ করে দিয়েছে। উত্তর প্রদেশ আজ গোটা দেশে দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির রাজ্য হয়ে উঠেছে। কিন্তু বাংলার শাসনে বসা মানুষরা রাজ্যের উন্নয়ন নিয়ে আগ্রহী না। ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার কাজ করেছে মোদী সরকার। কাশ্মীর মুক্তির জন্য একটি আন্দোলন হয়েছিল। কাশ্মীর আজ ভারতের সঙ্গে মিলে নতুন এক উচ্চতায় পৌঁছাছে।