বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজনৈতিক ময়দানে বাংলা এবং উত্তরপ্রদেশের সম্পর্কটা বেশ অদ্ভুত। এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কোনও বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করলেই তিনি দোহাই দেন উত্তরপ্রদেশের। সেরকম উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ প্রত্যক ভাষণে একবার করে হলেও দিদি মানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নেবেনই।
এবার উত্তরপ্রদেশের বিধানসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলার সমালোচনা করলেন যোগী আদিত্যনাথে। বাংলায় ঘটা ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের কথা তুলে তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয় উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সে রাজ্যে সফর এবং সমাজবাদী পার্টিকে সমর্থন করা নিয়েও কটাক্ষ করেন তিনি।
যোগী আদিত্যনাথ এদিন ভাষণে বলেন ‘উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনের সময় সমাজবাদী পার্টিকে সমর্থন করতে বাংলা থেকে দিদি এসেছিলেন। কিন্তু দিদির রাজ্য বাংলাতেই ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১২০০০ জন মানুষ। বাংলার ২৯৪টি আসনের মধ্যে ১৪২টি আসনেই হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। বাংলার জনসংখ্যা উত্তরপ্রদেশের জনসংখ্যার অর্ধেক। তারপরেও বাংলার প্রশাসন সম্পুর্ন ব্যর্থ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে। অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশে ভোট চলাকালীন ও ভোট পরবর্তী কোনও হিংসা হয়নি।’ তিনি এও বলেন যে ডবল ইঞ্জিনের সরকারের সাফল্য মেনে নিতে অস্বীকার করছে অখিলেশ যাদবের সরকার। বিজেপির জয়ও অস্বীকার করছে। আদিত্যনাথ বলেন, ‘ওরা জিতলে সব ঠিক আছে। কিন্তু বিজেপি জিতলেই ইভিএমে কিছু ত্রুটি আছে। এটা আসলে মানুষের অপমান।’
পাশাপাশি তিনি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না নিয়ে উত্তরপ্রদেশে প্রচারের সময় রাজ্যে তাঁর সফরের কথাও তুলে আনেন। তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের একজন ‘দিদি’ নির্বাচনে সমাজবাদী পার্টির সমর্থনে এসেছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যা উত্তর প্রদেশের অর্ধেক। উত্তরপ্রদেশে কোনো প্রাক-নির্বাচন বা ভোট-পরবর্তী কোনো হিংসার ঘটনা ছিল না। এটি আইনশৃঙ্খলার একটি উদাহরণ।’
অন্যদিকে, যোগীর মন্তব্যের পাল্টা কটাক্ষ করেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। তিনি বলেন, ‘বিকৃত মানসিকতার পরিচয়। যোগীর রাজ্যে ১০০০ জনের বেশি মানুষেক ভুয়ো এনকাউন্টারে খুন হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে প্রতিদিন গণধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলে গাড়ি চালিয়ে নিরীহ কৃষক, সাংবাদিককে খুন করেছে। তিনি আবার কোন অধিকারে বাংলাকে অপমান করছেন?’
Made in India