বাংলাহান্ট ডেস্ক :আগামী ২৫ মার্চ দ্বিতীয় বারের জন্য উত্তরপ্রদেশের সিংহাসনে বসতে চলেছেন যোগী আদিত্যনাথ। আর সেই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানকে কার্যতই ঐতিহাসিক রূপ দিত চলেছে বিজেপি সরকার। সে রাজ্যে যোগী আদিত্যনাথ এবং তাঁর মন্ত্রীসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানকে জাঁকজমকপূর্ণ করে তুলতে ইতিমধ্যেই মাঠে নেমে পড়েছে গেরুয়া শিবির।
উত্তর প্রদেশের বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক গোবিন্দ নারায়ণ শুক্লার জারি করা নির্দেশিকা অনুসারে, রাজ্যের সমস্ত জেলা, বিভাগ এবং ক্ষমতায় থাকা কেন্দ্র গুলির বিজেপি কর্মীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে। এদিন প্রতিটি এলাকার দলীয় নেতা কর্মীরা নিজ নিজ এলাকার মন্দিরে পুজো দেবেন এই অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে। সকাল ৮টা থেকে বেলা ১০ টা অবধি রাজ্যের প্রতিটি মন্দিরে হবে প্রার্থনা। এরপর আদিত্যনাথ যখন শপথ নেবেন তখন সবকটি মন্দিরের সবকটি ঘন্টা বেজে উঠবে একই সঙ্গে। বিজেপির মুখপাত্র রাকেশ ত্রিপাঠির মতে, ‘ভারতীয় হিন্দু সনাতন ঐতিহ্যে যে কোনও শুভ অনুষ্ঠানের আগেই পুজো করা হয়। আর এখানে যোগী আদিত্যনাথের শপথ গ্রহণের মতন বিরাট ব্যাপার।’
অন্যদিকে রাজ্যের সমস্ত কোনা কোনা থেকে বাছাই করে দুজন করে নেতাকে ২৪ তারিখ লখনউতে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শপথের একদিন আগে রাজধানীতে আসার সময় গাড়িতে বিজেপির পতাকা লাগিয়ে আসতেই হবে তাঁদের।
এই অনুষ্ঠানে বিজেপির জারি করা নিয়মগুলি ছাড়াও, শপথ গ্রহণ এবং যোগী আদিত্যনাথের হোডিং লাগানো হবে রাজ্যের প্রতিটি স্থানে। বাজার হাট থেকে শুরু করে রাস্তা ঘাট, সব যেন ছেয়ে ফেলা হয় পোস্টার এবং হোডিং দিয়ে রয়েছে এই নির্দেশই। এমনকি কারও যাতে পৌঁছাতে কোনও অসুবিধা না হয় সেই কারণেই প্রত্যেক নেতা এবং কর্মীদের নিমন্ত্রণ পত্র দেওয়া হয়েছে খোদ কেন্দ্রেদ্রেরই।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিধানসভায় হারের পর বাকি ৪ রাজ্যে দারুণ ফল করেছে বিজেপি। সেই হারের প্রেক্ষিতে এটা একটা বড় সাফল্যই বটে। আর রীতিমতো ঢাক ঢোল মিড়িয়া, সাধু সন্ত ডেকে যে পালন করা হবেই এই অনুষ্ঠান তা বলাই বাহুল্য।