CAB বিল পাস হয়ে এখন আইনে পরিণত হয়েছে। আর আইন হওয়ার সাথে সাথে কট্টরপন্থীরা দেশজুড়ে উৎপাত শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে উত্তর প্রদেশের বেশ কয়েকটি জায়গায় হিংসা হতে দেখা যায়। সরকারি প্রাইভেট বাস ভাঙচুর করা হয়, সরকারী বাস পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
উত্তরপ্রদেশের এই অশান্তির উপর মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) বক্তব্য এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন যারা হিংসামূলক ঘটনার সাথে জড়িত তাদের সকলের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। যারা বাস ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত ছিল তাদেরকে চিহ্নিতকরণ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে যোগী প্রশাসন।
যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন যারা এই সমস্থ কাণ্ডের সাথে জড়িত সকলেই দেশদ্রোহী। যোগী আদিত্যনাথ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “CAA সম্পর্কে কিছু না জেনেই উপদ্রবকারীরা সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করতে নেমে পড়েছে। CAA তে এমন কিছুই নেই যাতে কোনো বিশেষ জাতি, ধর্ম এর উপরে এর প্রভাব পড়বে। উত্তরপ্রদেশে এমন উপদ্রব চলবে না আগেই সাবধান করা হয়েছিল। এখন যারা যারা উপদ্রবে জড়িত সকলকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।
মুখ্যমন্ত্রী আগেই বলেছিলেন যে প্রত্যেকটি উপদ্রব চিহ্নিত করে তাদের সম্পত্তি দখল ও ক্ষতি করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন চিহ্নিতকরণ এর কাজ সমাপ্ত হয়েছে, সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশ পেয়ে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ পুরো ফর্মে আসে এবং দেরি করার সময় ফিরোজবাদ, সম্ভাল, লখনউ এবং রাজ্যের আরও অনেক অঞ্চল থেকে ১৪৪ জন উপদ্রবীকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পলিশ এই ১৪৪ জনকে সাংবিধানিকভাবে সাজা দেওয়ার সাথে সাথে বেশ বেধড়ক ওষুধ দেবে বলেও মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশের আলীগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটিতে উৎপাত চলায় সেখানে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। আলীগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটিকে (AMU) ৫ জানুয়ারি অবধি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সমস্ত পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। ছাত্রদের হিংসক প্রদর্শনকে দেখার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগে আলীগড় ইউনিভার্সিটির ছাত্রদের যোগী সরকারের পুলিশ বেধড়ক পিটিয়েছিল বলে অভিযোগ সামনে এসেছিল।