বাংলাহান্ট ডেস্ক : কড়া নাড়ছে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন। মাঝখানে আর মাত্র দিন সাতেকের অপেক্ষা। শুক্রবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর এবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হলেন উত্তরপ্রদেশের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। গোরক্ষপুর কেন্দ্র থেকে বিজেপির হয়ে লড়তে নেমেছেন তিনি।
এই সাক্ষাৎকারে কংগ্রেস এবং অন্যান্য বিরোধী থেকে শুরু করে মুসলিম ভোট সম্পর্কেও অকপট হতে শোনা যায় তাঁকে। তিনি বলেন, ‘ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করে দেশের নিরাপত্তাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করানো অত্যন্ত নিন্দাজনক।’ কাশ্মীর প্রসঙ্গে রাহুল গান্ধীর বক্তব্যের সমালোচনাও করেন তিনি। যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে যে মুসলিমদের সম্পর্ক খুব একটা হৃদ্যতার নয় এমনটাই দাবি দেশের পর্যবেক্ষক মহলের। তাঁর সঙ্গে মুসলিমদের সমীকরণ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি সাফ জানান মুসলমানদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কটা কিছুটা পারস্পরিক। তিনি বলেন, ‘মুসলমানরা আমার সঙ্গে যেমন সম্পর্ক রাখেন, আমিও ঠিক তেমনই সম্পর্ক রাখি তাঁদের সঙ্গে’।
উত্তরপ্রদেশের প্রধানমন্ত্রীর দাবি গোটা রাজ্যের সঙ্গে একই ভাবে পরিচিত তিনি। তাই কোন কেন্দ্র থেকে লড়ছেন তা নিয়ে মাথাব্যথা ছিল না তাঁর। সেই কারণেই কেন্দ্র নির্বাচনের দায়িত্ব দলের উপরেই ছেড়েছিলেন আদিত্যনাথ। গোরক্ষপুর কেন্দ্র থেকে তাঁকে প্রার্থী করার জন্য নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহকে ধন্যবাদও জানাতে দেখা যায় তাঁকে। আগের বারগুলির মতন এবারেও ঐতিহাসিক জয় হবে বিজেপিরই এমনটাই মত যোগী আদিত্যনাথের।
প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যেই জলঘোলা হয়েছে বিস্তর। যোগী গড়ে যোগীকে কড়া টক্কর দিতে তৈরি হয়েছেন অখিলেশ যাদব, রাহুল গান্ধির মতন বিরোধীরা। কিছুদিন আগে করা একটি সমীক্ষায়ও দেখা যায় সে রাজ্যের মুসলিম ভোট একেবারেই প্রায় নেই যোগী আদিত্যনাথের ফরে। উলটে রাহুল গান্ধী এবং অখিলেশ যাদবেই ভরসা রাখতে চায় সে রাজ্যের বড় অংশের মানুষ। এহেন পরিস্থিতিতে যে গোটা রাজ্যের নজর এখন উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের দিকেই তা বলা বাহুল্য। যদিও এই সমীক্ষার ফলাফলকে গুরুত্ব দেবেন না বলেই জানিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ।