বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা উত্তরপ্রদেশবাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ দৃঢ় করতে চায় সে রাজ্যের প্রশাসন। তাই এবার মুম্বাইয়ের পাশাপাশি কলকাতাতেও তৈরি হতে চলেছে যোগী আদিত্যনাথের কার্যালয়। অন্তত এমনটাই জল্পনা প্রবল হয়েছে উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠকের মন্তব্যে।
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশ সরকার ঘোষণা করে যে মুম্বাইতে বসবাসকারী প্রায় ৫০ থেকে ৬০ লক্ষ উত্তরপ্রদেশ বাসীর পাশে থাকতে চায় যোগী সরকার। সেই কারণে তাঁরা কোনও সমস্যায় পড়লে যাতে তৎক্ষনাৎ সাহায্য মেলে সরকারের তরফে মুম্বাইয়ে খোলা হতে চলেছে যোগী আদিত্যনাথের সরকারের একটি দপ্তর।
সেরাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক বলেন, ‘ব্যবসা কিংবা চাকরির জন্য উত্তরপ্রদেশের মানুষ রাজ্যের বাইরে বসবাস করেন । তাঁদের সঙ্গে উত্তরপ্রদেশ সরকারের যোগাযোগ আরও মসৃণ করতে চায় যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসন । তাঁরা কোনও সমস্যায় পড়লে যাতে দ্রুত সহায়তা পৌঁছে দেওয়া যায়, তা নিশ্চিত করতে মুম্বইয়ে অফিস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি ।’
এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন, ‘প্রয়োজন হলে কলকাতা, দিল্লিতেও মুম্বইয়ের মতো দফতর তৈরি করা হবে । ঠিক যেমন মুম্বইয়ে ইউপি ভবন তৈরি হবে । সেখানে উত্তরপ্রদেশের অনাবাসী বাসিন্দারা গিয়ে থাকতে পারবেন । কোনও সমস্যায় পড়লে সরাসরি উত্তরপ্রদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন । সেখানে দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা সমস্ত প্রয়োজনে পাশে দাঁড়াবেন।’
স্বভাবতই তাঁর এহেন দাবিকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। খোদ কলকাতায় যোগী আদিত্যনাথের দপ্তর খোলা হলে তা যে রাজনৈতিক ভাবে অতিমাত্রায় তাৎপর্যপূর্ণ হবে তেমনটাই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের। স্বভাবতই রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অহি নকুল সম্পর্ক যোগী আদিত্যনাথ এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাই মমতাগড়ে গেরুয়া দপ্তরের সহাবস্থান ঠিক কেমন হয় সেটাই এখন দেখার।