যোগী সরকার কমলেশ তিওয়ারীর স্ত্রীকে ১৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। একই সঙ্গে যোগী সরকার স্বজনদের সীতাপুরে একটি বাড়ি দেওয়ার নির্দেশও জারি করেছেন। কমলেশ তিওয়ারি হত্যা মামলার মূল আসামিদের গ্রেপ্তারের পর পুলিশ ময়না তদন্তের রিপোর্ট থেকে প্রকাশ করেছে যে মৃতকে প্রথমে গুলিবিদ্ধ করা হয়েছিল এবং তারপরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বার বার আঘাত করা হয়েছিল। একই সঙ্গে কমলেশ তিওয়ারি হত্যা মামলার মূল আসামিকে গ্রেপ্তারের পর এই মামলায় আরও একটি বড় তথ্য প্রকাশ পাওয়া গেছে। বলা হচ্ছে যে হত্যাকারী আশফাক ও মইনুদ্দিনের পরিকল্পনা ছিল ২০ অক্টোবর একটি পাবলিক অনুষ্ঠানে কমলেশ তিওয়ারিকে হত্যা করা!
হিন্দু সমাজ পার্টি 20 অক্টোবর একটি পাবলিক অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। এই প্রোগ্রামে কমলেশ তিওয়ারিকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তবে শেষ সময়ে হিন্দু সমাজ পার্টির পাবলিক কর্মসূচি বাতিল হওয়ার কারণে পরিকল্পনায় একটি পরিবর্তন আনা হয়েছিল। পরিবার লখনউতে কমলেশ তিওয়ারীর একটি মূর্তি স্থাপনের দাবি করেছেন। এছাড়াও, খুরশিদ বাঘ এলাকার নাম পরিবর্তন করে কমলেশ নগর করার দাবি করেছেন। কমেলশ তেওয়ারীর পরিবার দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
কমলেশ তিওয়ারির পরিবার প্রশাসনের সাথে একটি চুক্তি সম্পাদন করে, সেই অনুযায়ী পরিবারকে ছেলের থাকার ব্যবস্থা ও লাইসেন্স অস্ত্র সরবরাহ করা হবে। এ ছাড়া এনআইএ থেকে তদন্তের সুপারিশ করার কথাও বলা হয়েছে। তবে কমলেশ তেওয়ারী ছেলে যোগী আদিত্যনাথের পা ছুঁয়ে প্রনাম করায় সমাজবাদী পার্টি আক্রোশ প্রকাশ করেছে। তারা বলেছে কমলেশ তেওয়ারী ছেলে ব্রাহ্মণ আর যোগী আদিত্যনাথ ঠাকুর। তাই প্রনাম করা উচিত নয়। অর্থাৎ সরাসরি জাতিভেদ নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছে সমাজবাদী পার্টি।