বাংলাহান্ট ডেস্কঃ উত্তরপ্রদেশের (Uttarpradesh) হাথরস কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজনৈতিক মহল। পরপর দুটো গণধর্ষণের মামলায় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (Yogi adityanath) ব্যর্থতার দিকে আঙ্গুল তুলেছে বিরোধিরা। সেই সঙ্গে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রতিবাদে নেমছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতৃত্বরা। এবার উত্তপ্রদেশের আইনজীবীদের দাবি, রাষ্ট্রপতি (President) শাসন চালু করা হোক উত্তরপ্রদেশে।
হাথরসে মাত্র উনিশ বছররে তরুণীর গণধর্ষণের মামলায় সরকার থেকে প্রশাসন সকলকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে। কেন তড়িঘড়ি রাতের অন্ধকারেই নির্যাতিতার দেহ দাহ করল পুলিশ, তা নিয়েও উঠছে নানান প্রশ্ন। সেইসঙ্গে প্রশ্ন উঠছে পরিবারের অসম্মতিতে তাদের ঘরে জোর করে কেনই বা আটকে রাখা হল?
উত্তপ্ত উত্তরপ্রদেশের পরিস্থিতি ঠাণ্ডা করতে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে গাজিয়াবাদের কয়েক’শো আইনজীবী। বৃহস্পতিবার তারা যোগী সরকারকে তাঁর পদ থেকে বরখাস্ত করে, দ্রুতই উত্তরপ্রদেশে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানিয়েছেন। তাদের কথায়, উত্তরপ্রদেশ থেকে গণধর্ষণের যে ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে তাতে করে, মহিলাদের উপর অপরাধের নিদর্শন প্রকাশ পাচ্ছে। এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোন অধিকার নেই। কারণ উত্তরপ্রদেশের এই ঘটনা গোটা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। তাই তারা দ্রুতই উত্তরপ্রদেশে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে চাইছে।
অধিবক্তা সংঘর্ষ সমিতির ব্যানারে জন আদালত থেকে মিছিল করে জেলাশাসক অজয়শংকর পান্ডের কাছে আইনজীবীরা একটি স্মারকলিপি জমা দেন। সেখানে তারা রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে (Ram Nath Kovind) উত্তরপ্রদেশের শাসন ভার গ্রহণের অনুরোধ করেন। জেলা কালেক্টরেট অবধি এই মিছিলের যাত্রাপথে তারা যোগী বিরোধী শ্লোগান তুলে তাঁর কুশপুতুলিকাও জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করেন।
শুধুমাত্র যোগী সরকার নয়, উত্তরপ্রদেশের পুলিশের বিরুদ্ধেও তারা তাদের যাবতীয় ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, প্রমাণ লোপাট করার জন্য পুলিশ তড়িঘড়ি নির্যাতিতার সৎকার করে দেয়। এই বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিয়ে আইনজীবী নাহার সিং যাদব জানিয়েছেন, যোগী সরকার উত্তরপ্রদেশে অপরাধ দমনে চূড়ান্ত ব্যর্থ। বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে তিনি পুরোপুরি ব্যর্থ।