বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উত্তর প্রদেশে ধর্মান্তকরণ গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। সম্প্রতি রিপাবলিক টিভিতে অর্ণব গোস্বামী তিনি একটি সাক্ষাৎকার দেন। সেখানে অর্ণব গোস্বামী মুখ্যমন্ত্রীক জিজ্ঞাসা করেন যে, ওনার সরকার কি সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে? পাশাপাশি তিনি এও জিজ্ঞাসা করেন যে, নির্বাচনের আগেই কেন বিজেপি ধর্মান্তকরণের ইস্যু তোলে? অর্ণব গোস্বামীর প্রশ্নের জবাবে যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘লাভ জিহাদ” বিরোধী আইন নির্বাচনের অনেক আগেই লাগু করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, লাভ জিহাদের বিরুদ্ধে আইনের সঙ্গে আগামী বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে কোনও সম্পর্ক নেই, আর না আমাদের সরকার কখনও এই আইনের দুর্ব্যবহার করেনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আইনের ব্যবহার সবসময় দেশ আর রাজ্যের স্বার্থে করা হয়েছে। তিনি বলেন, ধর্মান্তকরণ মামলা দেশের সুরক্ষার সঙ্গে জড়িত। তিনি গাজিয়াবাদের ডাসনায় অবস্থিত শিব-শক্তি ধামে হিন্দুর বেশ ধরে অপরাধীদের ঢোকার প্রসঙ্গও তুলে ধরেন।
যোগী বলেন, মৌলানা মহম্মদ উমর গৌতম বাটলা হাউস থেকে গোটা দেশে ধর্মান্তকরণ নেটওয়ার্ক চালাচ্ছিল। তিনি এও বলেন যে, ধর্মান্তকরণ করার জন্য বিদেশী ফান্ডেরও ব্যবহার করত তাঁরা। যোগী বলেন, মূক-বধির বাচ্চাদের সফট টারগেট হিসেবে নিশানা করা হত। তিনি আরও বলেন, বাড়ির ভিতরে ঢুকে এঁরা ধর্মান্তকরণ করাত।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, বাচ্চাদের জিহাদি ট্রেনিং দিয়ে ধার্মিক স্থল আর VVIP সুরক্ষা ভেদ করে হামলা করানোর ষড়যন্ত্র ছিল ওদের। আমাদের কাছে সবকিছুর প্রমাণ আছে। এটা রাষ্ট্রীয় সুরক্ষার বিষয়, শুধু ধর্মান্তকরণের না। সরকার এই গ্যাংয়ের মুখোশ খুলতে ৫০০-র বেশি আধিকারিকদের নিযুক্ত করেছে।
আসন্ন নির্বাচনের আগে AIMIM প্রধান উত্তর প্রদেশে সক্রিয় হওয়া নিয়ে তিনি তেমন কিছু বলেন নি। উনি শুধু এটাই বলেছেন যে, উনি এখন বড় নেতা আর ওনার জোট করার অধিকারী আছে। কিন্তু বিজেপি সবরকম চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করবে। পাশাপাশি বিদেশী সংবাদে ওনাকে ‘হিন্দু মিলিট্যান্ট” বানানোর প্রশ্নে যোগী বলেন, ওদের চিন্তা ভাবনা যেমন ওঁরা তেমনই বলছে। যোগী বলেন, আমি হিন্দু হওয়ার গর্ব বোধ করি। আই এই হিন্দু সংস্কৃতিই ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ” ভাবনার জন্ম দেয়।