পাথরের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে একটি কাঠবিড়ালি, ১০ সেকেন্ডের মধ্যে খুঁজে পেলেই আপনি জিনিয়াস

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আপনি কি নিয়মিতভাবে বিভিন্নরকমের ধাঁধার (Puzzle) সমাধান করতে ভালোবাসেন? যদি, এর উত্তর “হ্যাঁ” হয় সেক্ষেত্রে এই প্ৰতিবেদনটি আপনার জন্য একদম উপযুক্ত। মূলত, আমাদের চারপাশে এমন অনেকেই থাকেন যাঁরা কঠিন কঠিন সব ধাঁধার সমাধান অবলীলায় করে ফেলতে পারেন। পাশাপাশি, বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) মাঝে মধ্যেই আমরা ধাঁধা সংক্রান্ত বিভিন্ন ছবি ও পোস্ট দেখতে পাই। তবে, সেগুলির মধ্যে এমন কিছু ছবি থাকে যেগুলি আর পাঁচটা ছবির তুলনায় কিছুটা ভিন্ন হয়।

মূলত, ওই ছবিগুলি অপটিক্যাল ইলিউশন (Optical Illusion) অর্থাৎ দৃষ্টিভ্রমের মাধ্যমে “চোখে ধোঁকা” দিয়ে অবাক করে দেয় আমাদের সবাইকেই। শুধু তাই নয়, ওই ছবিগুলিতে একটি নির্দিষ্ট ধরণের প্রতীক বা কোনো বিষয়কে অনুসন্ধান করতে হয় নেটিজেনদের। এমতাবস্থায়, তীক্ষ্ণ মনের মানুষেরা সহজেই এই ধরণের ধাঁধার সমাধান করতে পারলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছবিগুলি এতটাই কঠিন থাকে যে ৯৯ শতাংশ মানুষই এগুলির সঠিক উত্তর দিতে পারেন না।

যদিও, এই ছবিগুলিকে নির্ভুলভাবে সমাধান করার ক্ষেত্রে মেলে মানসিক প্রশান্তি। পাশাপাশি, এই অভ্যাস বাড়িয়ে দেয় মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতাও। এমতাবস্থায়, বর্তমান প্ৰতিবেদনে পাঠকদের কাছে আমরা সদ্য ভাইরাল হওয়া ঠিক সেইরকমই এক ছবির প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করছি। যেটিতে একটি কাঠবিড়ালিকে খুঁজে পেলেই সমাধান হয়ে যাবে ছবিটির।

খুঁজতে হবে ছবিতে থাকা কাঠবিড়ালিটিকে: মূলত, ভাইরাল হওয়া ছবিটিতে একটি পাহাড়ি পাথুরে এলাকার ছবি দেখা গিয়েছে। তবে, ওই ছবিটির মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে কাঠবিড়ালিটি। এমতাবস্থায়, আপনিও একবার সেটিকে খুঁজে দেখার জন্য চেষ্টা করতেই পারেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে নির্ধারিত ১০ সেকেন্ডের মধ্যে খুঁজে বের করতে হবে সেটিকে। তবে, বারংবার খুঁজে দেখার পরও আপনি যদি কাঠবিড়ালিটিকে খুঁজে না পান, সেক্ষেত্রে মন খারাপ করবেন না। কারণ, আমরা সেটির সঠিক অবস্থান সম্পর্কে জানিয়ে দিচ্ছি।

kathberali

এইখানে লুকিয়ে রয়েছে কাঠবিড়ালিটি: মূলত, আপনি যদি ছবিটিকে ভালোভাবে লক্ষ্য করেন সেক্ষেত্রে কাঠবিড়ালিটির সন্ধান পেয়ে যাবেন। তবে, বেশ কয়েকবার খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে হবে ছবিটিকে। দিলেই বুঝতে পারবেন ভাইরাল হওয়া ওই ছবিটির বামদিকের ওপরের অংশে মুখ বাড়িয়ে রয়েছে কাঠবিড়ালিটি। আমরা সেটিকে ভালোভাবে বোঝানোর জন্য লালবৃত্তের মাধ্যমে তার অবস্থানটি উল্লেখ করছি। আসলে কাঠবিড়ালিটির গায়ের রঙ পাথরের সাথে মিশে যাওয়ায় সেটি চোখ এড়িয়ে যাচ্ছিল সবার। এমতাবস্থায়, আমাদের দেখিয়ে দেওয়ার আগেই আপনি যদি সেটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে খুঁজে পেতে সচেষ্ট হন সেক্ষেত্রে আপনি নিঃসন্দেহে একজন জিনিয়াস।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর