বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান বিশ্ব দ্রুতহারে এগিয়ে চলেছে। পাশাপাশি, উন্নত হচ্ছে মানুষের জীবনযাত্রাও। এমতাবস্থায়, সকলেই প্রথাগত দিক ছেড়ে নতুন নতুন পথে হাঁটতে পছন্দ করছেন। আর তাতে মিলছে সুবিধাও। এছাড়া, উন্মোচিত হচ্ছে নতুন দিকও। যার সুফল ভোগ করছেন সকলেই। স্বাভাবিকভাবেই এই রেশ পরিলক্ষিত হয়েছে পেশাগত দিকেও।
যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এবং প্রযুক্তির সাহায্যে বর্তমানে এমন কিছু কিছু লাভজনক রোজগারের উপায় সামনে এসেছে যেগুলিকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েই লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করছেন অনেকে। আমরা সকলেই জানি যে, বর্তমান যুগ হল সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ। ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম-টুইটারের মত ইউটিউবও একটি অন্যতম প্ল্যাটফর্ম এখানে। আর এই প্ল্যাটফর্মকেই কাজে লাগিয়ে খুব সহজেই লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করা সম্ভব। তবে, তার জন্য রয়েছে কিছু পদ্ধতিগত উপায়। বর্তমান প্রতিবেদনে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হল।
বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মাধ্যমগুলি অত্যন্ত সক্রিয় হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি, বহুল পরিমানে স্মার্টফোনের ব্যবহার এই গতিকে আরও ত্বরান্বিত করেছে। যার ফলে বেড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারও। এমতাবস্থায়, ঘরে বসে অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রে আপনি ইউটিউবে বিভিন্ন কন্টেন্ট বানিয়েই বিরাট অঙ্কের লাভ করতে পারেন। দর্শকসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়বে আপনার রোজগার। শুধুমাত্র নিম্নলিখিত জিনিসগুলি মাথায় রাখলেই দ্রুত গ্রোথ আসবে আপনার চ্যানেলে। জেনে নিন সেগুলি:
আপনার দক্ষতা হয়ে উঠবে উপার্জনের মাধ্যম:
ইউটিউব থেকে আয় করার জন্য আপনাকে ভিডিও তৈরি করতে হবে। আপনি যদি যে কোনো বিষয় নিয়ে খুব সহজেই কথা বলতে পারেন এবং আপনার উপস্থাপনা যদি নজরকাড়া হয় তাহলে সেক্ষেত্রে দর্শক আপনার ভিডিওগুলি পছন্দ করবে। মূলত, আপনার ডিভিওর মাধ্যমেই দর্শকদের মনে পৌঁছে যেতে হবে আপনাকে। একবার আপনার মধ্যে আত্মবিশ্বাস চলে এলেই আপনি ভালো ভালো কন্টেন্ট দর্শকদের উপহার দিতে পারবেন।
ভিডিওর গুণমানের দিকটি লক্ষ্য রাখতে হবে:
আপনি যখনই আপনার ইউটিউব ভিডিও প্রস্তুত করবেন, তখন অবশ্যই ছবি এবং সাউন্ডের কোয়ালিটির দিকে আপনাকে নজর দিতে হবে। কারণ, আপনার ভিডিওর বিষয়বস্তুকে দর্শকদের সামনে তুলে ধরতে এগুলির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ভিডিওর মান যত ভালো হবে ততই আপনার চ্যানেলে এনগেজমেন্ট বাড়বে। যার ফলে খুব সহজেই ভিডিওগুলি ভাইরাল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
বিষয়বস্তু নির্বাচন:
ইউটিউবের ভিডিওর ক্ষেত্রে মানুষ সাধারণত নিত্যনতুন ভিডিও দেখতে চান। তবু, আপনি যে বিষয়ে দক্ষ সেই বিষয় নিয়েও ভিডিও উপস্থাপিত করতে পারেন। পাশাপাশি, লক্ষ্য রাখতে হবে যে, ভিডিওতে যেন নির্ভুল তথ্য থাকে। এছাড়াও, আপনার সৃজনশীল ধারণা দিয়েও নির্বাচিত কোনো বিষয়বস্তু যা দর্শকদের আকৃষ্ট করতে পারে, এমন ভিডিওগুলিও চ্যানেলের মান বাড়িয়ে দেবে।
ভিডিওর সময়কাল ৩ মিনিটের কম রাখবেন না:
আপনি যদি আপনার ইউটিউব ভিডিওগুলি থেকে অর্থ উপার্জন করতে চান তবে অবশ্যই মনে রাখবেন, আপনি যে ভিডিওটি তৈরি করছেন তার সময়সীমা যেন ৩ মিনিটের কম না নয়। আপনি ৩ মিনিটের বেশি ভিডিও বানাতে পারেন তবে এর চেয়ে কম করবেন না। মূলত, ৩ মিনিটের একটি ভিডিওতে, দর্শকদের জন্য আপনার ভিডিওর বিষয়বস্তু বুঝতে সহজ হবে এবং আপনি সঠিকভাবে আপনার বক্তব্য তুলে ধরতে সক্ষম হবেন।
একটানা ভিডিও পোস্ট করুন:
আপনি ইউটিউব চ্যানেলের শুরুতে ১ দিনে একটি ভিডিও পোস্ট করতে পারেন। তবে যদি আপনার চ্যানেলে আরও এনগেজমেন্ট চান তবে আপনাকে প্রতিদিন প্রায় দু’টি ভিডিও পোস্ট করার চেষ্টা করতে হবে। এই প্রক্রিয়াটি নিয়মিত চালিয়ে যান যাতে আপনার চ্যানেলের ভিউ বাড়ে এবং দর্শকরা যতটা সম্ভব সাবস্ক্রাইব করেন। একবার চ্যানেলে দাঁড়িয়ে গেলেই ব্র্যান্ড প্রমোশন বা আরও অন্যান্য উপায় আপনি প্রতি মাসে কম করেও এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতে সক্ষম হবেন।