দিঘা, পুরী ছেড়ে চলে যান ‘মিনি গোয়া’! কলকাতার কাছের এই সৈকতের রূপে মুগ্ধ হবেন

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বর্ষার মরশুমে আমাদের দেশ এক নতুন রূপ নেয়। বর্ষার বৃষ্টিতে আরো সবুজ হয়ে ওঠে আমাদের দেশের তৃণভূমি। ভরা বর্ষায় সমুদ্রের রূপও দেখার মতো। এমন অবস্থায় অনেকেই সপ্তাহ শেষে ছুটি কাটাতে চলে যান পুরী। বাঙালির কাছে যে কয়েকটি জায়গা হট লিস্টে থাকে তার মধ্যে অন্যতম এই পুরী।

পুরীতে এক দিকে রয়েছে সমুদ্র, অন্যদিকে রয়েছে জগন্নাথদেবের মন্দির। বছরের প্রতিটা ঋতুতেই পর্যটকে ভরা থাকে পুরী। গত সপ্তাহের শেষে অনেকেই হয়তো ঘুরতে গিয়েছেন পুরীতে। উল্টো রথ ও ঈদের ছুটি কাটিয়ে অনেকে আবার চলেও এসেছেন বাড়ি। আবার কেউ কেউ হয়তো এখনও পুরীতে রয়েছেন।

আবার এই বৃষ্টির মৌসুমে অনেকেই চাইছেন কয়েকটা দিনের জন্য পুরী থেকে ঘুরে আসতে। সম্প্রতি হাওড়া থেকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হয়েছে পুরী যাওয়ার জন্য। মাত্র সাত ঘন্টায় অত্যন্ত আরামে যাত্রীরা এখন বাংলা থেকে পৌঁছে যেতে পারছেন পুরী। পুরীর বিচ বা সৈকত সারাদিন ভর্তি থাকে পর্যটকে।

goa1 1687959285

তবে একটু অন্যরকম ভাবে পুরীকে দেখতে হলে আপনারা চলে যেতে পারেন গোল্ডেন বিচে। এই গোল্ডেন বিচকে মিনি গোয়াও বলা যেতে পারে। এই সৈকতটি পুরীর খুব কাছেই অবস্থিত। ওড়িশা সরকার বিশেষ নজরদারিতে রক্ষণাবেক্ষণ করছে এই জায়গাটির। পরিচ্ছন্নতার জন্য গোল্ডেন বিচ সম্প্রতি পুরস্কারও লাভ করেছে।

পুরীর স্বর্গদ্বার থেকে টোটো ভাড়া করে আপনারা পৌঁছতে পারেন গোল্ডেন বিচ। এখানকার সমুদ্র সৈকত অত্যন্ত পরিষ্কার। পরিকল্পনা করে সৌন্দর্যায়ন করা হয়েছে এই জায়গাটির। তবে এখানে প্রবেশের জন্য টিকিট কাটতে হয়। মাথাপিছু কুড়ি টাকা করে টিকিট লাগে এখানে প্রবেশের জন্য।

1puri

সৈকতে সময় কাটানোর জন্য রয়েছে ছাতাযুক্ত চেয়ার। মেরিন ড্রাইভের আদলে বিশেষ রাস্তা তৈরি করা হয়েছে এই বিচে। সকাল ও সন্ধ্যা বেলায় এই রাস্তায় বেশ কিছুক্ষণ হাঁটা যায়। এই জায়গা থেকে সূর্যাস্ত দেখতে লাগে ভারই মনোরম। পুরীর এই জায়গাটি আপনাকে নিঃসন্দেহে গোয়ার আনন্দ দেবে তা বলাই যায় ।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর