বিয়ে করলেই কেল্লাফতে! পাবেন নাগরিকত্ব, মিলবে টাকাও, এই দেশগুলিতে রয়েছে অবাক করা নিয়ম

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ছোট থেকেই অনেকেই স্বপ্ন দেখেন বিদেশে যাবেন আর সেখানে গিয়ে নিজের বসতি গড়বেন। কিন্তু বড় বিষয় হচ্ছে, নাগরিকত্ব পাওয়া নিয়ে। যেকোনও দেশের নাগরিকত্বের পরিচয় না পেলে বাড়ি বানানো তো দূর থাকাই মুশকিল হয়ে যায়। কারণ প্রতিটি দেশে তার নিজস্ব কিছু আইন-কানুন রয়েছে। কিন্তু এমন কিছু দেশ রয়েছে যেখানে বিয়ে (Marriage) করলেই পাওয়া যায় নাগরিকত্ব । আজ এমন কিছু দেশের খোঁজ দেব যেখানকার কোন নারী কিংবা পুরুষকে বিয়ে করলেই আপনি পেতে পারেন ওই দেশের নাগরিকত্ব। আপনিও যদি অন্য দেশের নাগরিকত্ব পেতে চান তাহলে আপনার জন্য এই প্রতিবেদনটি।

বিয়ে (Marriage) করলেই পাবেন নাগরিকত্ব:

বিষয়টি শুনে অনেকের কাছে অবাক লাগতে পারে। বিয়ে (Marriage) করলে নাগরিকত্ব পাওয়া যায় এমনও সম্ভব নাকি। কিন্তু এমনই নিয়ম রয়েছে বিশেষ কিছু দেশে। যেখানে গিয়ে স্থানীয় কাউকে বিয়ে করলেই মিলবে সেই দেশের নাগরিকত্ব। শুধু নাগরিকত্ব নয় একই সাথে দেওয়া হয় টাকাও। অর্থাৎ ভুঁড়ি ভুঁড়ি সুবিধা দিচ্ছে সে দেশের সরকাররা। কোন দেশে চালু রয়েছে এমন নিয়ম রইল তালিকা।

১) নেদারল্যান্ড: ইউরোপের অন্যতম দেশ নেদারল্যান্ডে চালু রয়েছে এই নিয়ম। এখানকার কোনও স্থানীয় বাসিন্দা সে পুরুষ হোক কিংবা মহিলা যে কাউকেই বিয়ে (Marriage) করলে আপনি নিজের সঙ্গীর সঙ্গে সেই দেশে নিঃসংকোচে থাকতে পারবেন টানা ৩ বছর। এমনকি আপনার স্ত্রী কিংবা স্বামীর হাত ধরে পেতে পারেন নাগরিকত্ব। তবে নাগরিকত্ব পেতে গেলে অবশ্যই সেখানে ৫ বছর থাকতে হবে তাহলেই পাবেন এই সুবিধা।

You get citizenship of this country if you getting marriage

২) জার্মানি: ইউরোপের আরো অন্যতম একটি দেশ জার্মানি। এখানেও নেদারল্যান্ডের মতো সুবিধা রয়েছে। নাগরিকত্ব পেতে গেলে অনেক সময় বিভিন্ন রকমের ঝক্কি পোহাতে হয়। তবে জার্মানির কোনও পুরুষ কিংবা মহিলাকে বিয়ে করলে সহজেই পাওয়া যায় নাগরিকত্ব। তবে এক্ষেত্রে ৩ বছরের মধ্যে আপনাকে জার্মান ভাষা শিখতে হবে। এখানে থাকতে গেলে জার্মান ভাষা শেখা গুরুত্বপূর্ণ। সেই সাথে ৩ বছর জার্মানিতে থাকতে হবে, তাহলেই পাবেন সুবিধা। তবে সব থেকে বড় বিষয় হচ্ছে জার্মান ভাষা শেখার জন্য আপনাকে টাকাও দেওয়া হবে।

৩) সুইজারল্যান্ড: ইউরোপের এই বরফের দেশে কোন বাসিন্দাকে বিয়ে (Marriage) করলেই নাগরিকত্বের সুবিধা পাওয়া যায়। এদেশের নাগরিককে বিয়ে করলে মাত্র ৩ বছরের মধ্যেই পেয়ে যাবেন সুবিধা। আর কাজের ক্ষেত্রে হলে সেক্ষেত্রে ৫ বছর সুইজারল্যান্ডে থাকা চাই। কিন্তু চাকরিসূত্রে এদেশে নাগরিকত্ব পাওয়া খুব দুষ্কর বিষয়।

আরও পড়ুনঃ স্ত্রীকে ‘লুকিয়ে’ রেখেছে ডাক্তার মেয়ে! সোজা হাইকোর্টে ছুটলেন চিকিৎসক পিতা! তারপর যা হল…

৪) ব্রাজিল: আমেরিকার মধ্যে অন্যতম বড় দেশ ব্রাজিল। তবে এখানকার নাগরিকত্ব পাওয়া খুব একটা সহজ নয়। অনেকসময় হাজার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হতে হয়। তাই এক্ষেত্রে আপনি যদি ব্রাজিলের কাউকে বিয়ে করে নেন, তাহলে নাগরিকত্ব পাওয়া অনেক সহজ হয়ে যাবে। সেখানকার নিয়ম অনুসারে, বিয়ের পর মাত্র ১ বছরের মধ্যেই পাওয়া যায় এই সুবিধা। আর আপনি যদি ব্রাজিলের বাসিন্দা হয়ে অন্য কোথাও থাকতে চান, সেক্ষেত্রে অন্তত ৪ বছর ব্রাজিলে থাকা চাই। নইলে নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে না।

You get citizenship of this country if you getting marriage

৫) স্পেন: এই তালিকায় রয়েছে স্পেনও। এখানকার যে কোন নাগরিককে বিয়ে করলে খুব সহজেই নাগরিকত্ব পাওয়া যায়। সেই সাথে সরকারকে এক বছর ট্যাক্স দিতে পারলে অনায়াসে এই সুবিধার আবেদন করতে পারবেন।

আরও পড়ুনঃ ট্যাব দুর্নীতির পর এবার বিরাট কারচুপি মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্পে

৬) মেক্সিকো: মেক্সিকোতেও নাগরিকত্ব সুবিধা পাওয়া অত্যন্ত কঠিন। কিন্তু সেখানকার কোন বাসিন্দাকে বিয়ে (Marriage) করে নিলেই সুবিধা অনায়াসে পাওয়া যায়। নিয়ম অনুসারে মেক্সিকোর কোন নারী কিংবা পুরুষকে বিয়ে করলে সেখানে ২ বছর স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে থাকতে হবে। তারপরই সেই সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। শুধু তাই নয় একই সাথে আপনি হয়ে উঠতে পারেন পাসপোর্ট পাওয়ার উপযোগী। আর মেক্সিকোর পাসপোর্ট পেলে আপনি ভিসা ছাড়াই ১৩৪ টি দেশ ভ্রমণ করতে পারবেন। অর্থাৎ সেখানকার সরকার বেশ সুবিধা দিচ্ছে।

Sunanda Manna
Sunanda Manna

সুনন্দা মান্না, বাংলা হান্টের স্ক্রিপ্ট রাইটার। গুরুদাস কলেজ থেকে সাংবাদিকতা করার পর থেকেই সংবাদ মাধ্যমে কাজ শুরু। দেশ থেকে বিদেশ, রাজনীতি, বিনোদন বিভিন্ন তথ্যই আপনাদের কাছে তুলে দেওয়া আমার মূল লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর