বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারতের (India) রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। তাল মিলিয়ে বেড়ে চলেছে পেট্রোল (Petrol) ডিজেলের (Diesel) দামও। এমনিতেই গাড়ির জ্বালানি ভরতে নাভিশ্বাস উঠছে মধ্যবিত্তের, তার উপর আবার যদি শোনা যায় যে, পেট্রোল পাম্পের মালিকরা গ্রাহকদের লুঠ করছে তাহলে কেমন লাগবে? অনেকেই হয়ত অবগত নন যে, বহু পেট্রোল পাম্পের মালিকরাই কিন্তু গ্রাহকদের সঙ্গে জালিয়াতি করেন।
সচরাচর কেউ যখন পেট্রোল পাম্পে (Filling Station) যায় তখন তার চোখ থাকে পেট্রোল পাম্পের কর্মীদের উপর। এমতাবস্থায় গাড়িতে কতটা জ্বালানি ঢুকছে সেটা খেয়াল করেননা অনেকেই। মনে রাখবেন জ্বালানি গাড়িতে ভরার পর এই পাইপে ও তার অগ্রভাগে কিছুটা জ্বালানি রয়ে যায়। অথচ এই তেলের টাকাও দেন আপনি।
পেট্রোলের পরিমান কম দেওয়ার জন্য এইরকম নানা ধরণের টেকনিক্যাল ছলচাতুরীর আশ্রয় নেন পাম্প মালিকরা। যার জেরে টাকা দেওয়া সত্ত্বেও সঠিক পরিমাণে তেল পাননা গ্রাহকরা। আজকের প্রতিবেদনে আপনাদের জন্য রইল কিছু টিপস, যার সাহায্যে আপনি সহজেই এই প্রতারণা এড়াতে পারবেন।
১. প্রথমত, জ্বালানী ভর্তি করার সময়, আপনার মিটার রিডিংয়ের দিকে নজর রাখা উচিত। আপনার যদি মনে হয় মিটার ঠিকমতো দেখাচ্ছে না, তাহলে তৎক্ষণাৎ অভিযোগ জানান। এছাড়া তেল পাইপের দিকেও নজর রাখতে হবে।
২. আপনি ফিল্টার পেপার টেস্টও করতে পারেন। কনজিউমার প্রোটেকশন অ্যাক্ট ১৯৮৬ অনুসারে, সমস্ত পেট্রোল পাম্পে ফিল্টার পেপারের স্টক রাখা আবশ্যক। আপনি ফিল্টার পেপারে কয়েক ফোঁটা পেট্রোল রেখে পরীক্ষা করতে পারেন। পেট্রোল খাঁটি হলে কাগজে কোনো দাগ থাকবে না। দাগ দেখা গেলে পেট্রোলে ভেজাল থাকতে পারে।
৩. এছাড়া অনেক সময় মেশিনের মিটারও কারচুপি করে গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করা হয়। আপনি যদি মনে করেন যে, তেল কম দেওয়া হচ্ছে, তাহলে আপনি ৫ লিটারের জার নিয়ে পরীক্ষা করতে পারেন। আপনি এই জারে তেল ভর্তি করে ক্রসচেক করতে পারেন।
৪. কোন নতুন তেল পাম্পে গেলে অবশ্যই সেই পাম্প সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য যাচাই করে নিন। এটার জন্য আপনাকে যেতে হবে সেই সংস্থার ওয়েবসাইটে। প্রয়োজনে অভিযোগও জানাতে পারেন। ইন্ডিয়ান অয়েলের কাস্টমার কেয়ার নম্বর হল ১৮০০-২৩৩৩-৫৫৫। এবং গ্রাহকের অভিযোগের জন্য ভারত পেট্রোলিয়ামের কাস্টমার কেয়ার নম্বর হল ১৮০০২২৪৩৪৪।