বাংলা হান্ট ডেস্ক : আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Case) দিন পেরিয়েছে প্রায় ৪০ দিন হতে যায়। আর আজ ৪০ দিন ধরে রাস্তায় আন্দোলনকারীরা। বিশেষ করে জুনিয়র ডাক্তাররা বিন্দুমাত্র বিশ্রাম না নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। আর তাদের এই আন্দোলনে (RG Kar Case) গোটা বাংলা সামিল হয়েছে। তাদের উদ্যমকে আরো কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিতে সাধারণ মানুষও যেভাবে পারছেন সাহায্য করছেন। কেউ রান্না করে, আবার কেউ অর্ডার করে খাবারের জোগান দিচ্ছেন। কোনো কিছুর অভাব হবে না, শুধু জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিবাদ চলুক এমনই চায় বাংলার মানুষ।
আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Case) আন্দোলনকারীদের জন্য চা নিয়ে হাজির এই দম্পতি
আর ঠিক এই আবহেই এক দম্পতির ভিডিও বেশ ভাইরাল হয়। ভাইরাল ভিডিও থেকে জানা যাচ্ছে, ভোর রাতে এই দম্পতি স্কুটি চালিয়ে হাজির হন সল্টলেকে। রাস্তায় রাত কাটানো আন্দোলনকারীদের (RG Kar Case) জন্যই তাদের যাওয়া। সকালে উঠে তারা যাতে গরম চায়ে চুমুক দিতে পারে তাই এই ব্যবস্থা। ভোর ৫ টা বাজলেই সেখানে চা নিয়ে হাজির হন দুজনে।
ভিডিওর মাধ্যমে জানা গেছে, এখানে আসার জন্য তারা প্রতিদিন ৩-তে ঘুম থেকে ওঠেন। ভিডিও কর্তা যখন সেই মহিলাকে জিজ্ঞেস করেন, এত সকালে উঠে পড়েন আর দু ঘন্টা ঘুমাতে ইচ্ছে করে না? এই বিষয়ে ওই ভদ্র মহিলা জানান, “সবাই জেগে আছে, তাই আমি ঘুমাই সেটা খারাপ লাগে”। তিনি এই আন্দোলনের একজন ভাগীদার হতে চান তাই এইটুকু করা।
আরও পড়ুন : মাথায় রাখুন! এই টাকাই রাখতে পারবেন অ্যাকাউন্টে! নিয়ম না মানলেই ঘরে আসবে IT নোটিশ
জানা যায়, তারা দুজন কেষ্টপুরের বাসিন্দা। কেষ্টপুর থেকে প্রতিদিন সকালে স্কুটি চালিয়ে সল্টলেকে এসে উপস্থিত হন। এই বিষয়ে ভদ্রলোককে কিসের জন্য আসেন জিজ্ঞেস করলে। তিনি জবাবে বলেন, ” আমিও মেডিকেল লাইনের ছেলে। অক্সিজেন, আয়া, নার্স দিয়ে সমাজসেবা করি। যে কেউ বিপদে পড়লে আমি পাশে দাঁড়াই”। অর্থাৎ তারাও যে এই আন্দোলনের অংশ হতে চান সেটা স্পষ্ট। আরো জানা গিয়েছে, শুধু সকালেই নন তারা বিকালেও আসেন। তবে বিকেলে চা নিয়ে নন আন্দোলনকারীদের সঙ্গ দিতেই তাদের আসা।
আর তাদের এই ভিডিও পোস্ট হওয়া মাত্রই দম্পতিদের কুর্নিশ জানিয়েছে বাংলার মানুষ। এমনকি এই ভিডিও নিজের সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন গায়িকা লগ্নজিতা চক্রবর্তী। এই ভিডিও দেখে নেট নাগরিকরা মন্তব্য করেছেন, “এত অবক্ষয়ের মাঝেও আশা ভরসার ঝিলিক। তোমাদের অনেক অনেক ভালোবাসা”। আবার কেউ বলেন “এনারাই অনুপ্রেরণা”। সত্যিই যে মানবিকতা হারিয়ে যায়নি তা বারবার প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে। তার অন্যতম উদাহরণ এই দম্পতি।