খাওয়া দাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলা উচিত। কারন এরকম্ অনেকেই আছেন যারা খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকেই নিয়ম না মেনে খায়। এতে শুভ অশুভ্ ব্যপার থাকে, তাই এদিকে একটু নজর দেওয়া ভালো। না হলে এতে খারাপ প্রভাব পরতে পারে। বলা হয় যে এতে আমাদের জীবনে কু প্রভাব পরে। এবার দেখা যাক সেই দিকগুলি কি। প্রথমেই বলে রাখা দরকার সূর্য উদয়ের আগে এবং গোধূলি লগ্নে খাদ্য গ্রহণ করা উচিৎ নয়।
তা আমাদের জন্য ভালো লক্ষন নয়। জল, ক্ষীর, দই, দুধ, মধু, ঘি, ছাতু ও শাক জাতীয় খাদ্য কখনও নিজের পাতের থেকে অপরকে দেওয়া উচিৎ নয়। । আবার অন্যদিকে যানবাহনে, শ্মশানে,চলতে চলতে খাদ্য গ্রহন করা উচিত নয়। প্রাচীন শাস্ত্র মতে কোন দিন কোন খাবার খাওয়া উচিত নয় এগুলি আমাদের মেনে চলা দরকার। যদিও আবার অনেকেই এই নিয়ম মানেনা। তাদের কাছে বিজ্ঞান সব। বিজ্ঞানীদের মতের ওপর সব চলে ।তাই বিজ্ঞান ভিত্তিক কথা ছাড়া তারা এসবে বিশ্বাস করে না। কিন্তু শাস্ত্র মতে এইদিন গুলোতে এসব নিয়ম মেনে চলা উচিত। তৃতীয়া তিথিতে পটল খেলে শত্রু সংখ্যা বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে। চতুর্থীতে মূলো খেতে হবে। পঞ্চমীতে বেল খেলে কলঙ্ক বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে। ষষ্ঠীতে নিমপাতা খেলে সন্তান ভাগ্য খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সপ্তমীতে তাল খেলে স্বাস্থ্যহানি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অষ্টমীতে নারকেল খেলে মূর্খতা প্রাপ্তির সম্ভাবনা থাকে।
নবমীতে পান্তা ভাত খেলে সর্দি-কাশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। দশমীতে কলমি শাক খেলে গোহত্যা সমতূল্য পাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার একাদশীতে শিম খেলে পাপ জন্মানোর সম্ভাবনা থাকে। আবার প্রতিপদ তিথিতে চালকুমড়ো খেলে অর্থহানির সম্ভাবনা থাকে। তাই এইসব নিয়ম মেনে আমাদের উচিত খাওয়া দাওয়া সম্পর্কে সচেতন হওয়া। বলা যেতে পারে সেটা নিয়ম ভিত্তিক হওয়া জরুরি।