বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে দিন যত এগোচ্ছে ততই দেশে নিত্যনতুন চাষাবাদের (Farming) বিষয়টিও সামনে আসছে। মূলত, প্রথাগতভাবে ধান-গমের মতো খাদ্যশস্যের চাষ না করে অনেকেই চাহিদার ওপর ভর করে বিভিন্ন যুগোপযোগী চাষের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন। পাশাপাশি, এর মাধ্যমে তাঁরা হচ্ছেন লাভবানও। আর সেই কারণেই দেশে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে বিদেশি ফল চাষের ঘটনা।
সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এহেন চাষ শুরু করার মাধ্যমে সেটিকে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেও কাজে লাগানো যেতে পারে। এমতাবস্থায়, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের কাছে অ্যাভোকাডো চাষের (Avocado Farming) প্রসঙ্গটি তুলে ধরব। প্রথমেই জানিয়ে রাখি যে, অ্যাভোকাডো হল পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ একটি ফল।
শুধু তাই নয়, এটি খেলে স্বাস্থ্য যেমন ভালো থাকে, ঠিক তেমনি এটি চাষ করার মাধ্যমেও আপনি প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এছাড়াও, এই চাষের মাধ্যমে আপনি ব্যবসা বা এই সংক্রান্ত স্টার্টআপও শুরু করতে পারেন। বিশেষ করে কৃষকদের জন্য এটি আয়ের অত্যন্ত ভালো মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে।
আভোকাডো: উল্লেখ্য যে, অ্যাভোকাডো হল এক ধরণের ফল। পাশাপাশি, এটি “বাটার ফ্রুট” নামেও পরিচিত। এই ফলটি মূলত আমেরিকার ফল। তবে এখন এটি সারা বিশ্বে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি, এই ফল বিভিন্ন রঙের হলেও সাধারণত সবুজ রঙের ফলটিই বেশি পরিলক্ষিত হয়। অত্যন্ত পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এই ফলটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ফাইবার এবং ভিটামিন। এমতাবস্থায়, এই ফলটি একাধিক রোগের উপশমেও প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করে।
এইভাবে করুন চাষ: এদিকে, ক্রমশ এই ফলের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে সর্বত্র। মূলত, আভোকাডো গ্রীষ্মপ্রধান এলাকায় ভালো চাষ হয়। এই গাছ সঠিকভাবে রোপণ করলে ৫ থেকে ৬ বছরের মধ্যে ফল দিতে শুরু করে। ফলের ভিতরের বীজটি হয় হলুদাভ সাদা রঙের। যেটি পরিণত হলে হয় গাঢ় বাদামী রঙের।
উল্লেখ্য যে, বাজারে অ্যাভোকাডোর দাম থাকে অত্যন্ত বেশি। তাই, ভালো দামে এই ফল বিক্রি করে আপনি সহজেই লাভ করতে পারেন। এটির ১ কেজির দাম হতে পারে ২ হাজার টাকা। এটি ধীরে ধীরে ভারতেও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তবে এই ফল শুধুমাত্র ভারতের কর্ণাটক, তামিলনাড়ু এবং মহারাষ্ট্রের কিছু অংশে চাষ করা হয়। পাশাপাশি, বেশিরভাগই বাইরে থেকে রপ্তানি করে আনা হয়। এমতাবস্থায়, এই ফলের চাষ অত্যন্ত লাভজনক হয়ে উঠতে পারে।