আর নেই চিন্তা! এবারে শুরু করুন এই গাছের চাষ, বছরের পর বছর ধরে হতে থাকবে বাম্পার আয়

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এবং চাহিদার ওপর ভর করে বিভিন্ন নিত্যনতুন চাষের (Farming) মাধ্যমে দুর্দান্ত আয় করছেন কিছু কৃষক। মূলত, তাঁরা গতানুগতিকভাবে ধান-গমের মতো খাদ্যশস্যের চাষ না করে কিছু অন্যান্য চাষের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন। যেগুলিতে মিলছে লাভও। বর্তমান প্রতিবেদনে আমরা ঠিক সেইরকমই এক চাষের প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব। যেটি শুরুর মাধ্যমে কৃষকেরা বিপুল লাভের সম্মুখীন হতে পারেন।

মূলত, আজ আমরা আপনাদের কাছে কারি পাতার গাছের চাষের বিষয়ে জানাব। এমনিতেই, কারি পাতা প্রতিটি বাড়ির রান্নাঘরেই ব্যবহৃত হয়। পাশাপাশি, এই পাতার একাধিক ঔষধি গুণও রয়েছে। আর সেই কারণেই বিপুল চাহিদা পরিলক্ষিত হয় এই পাতার। বাজারে এগুলির দামও থাকে অনেক। এমতাবস্থায়, এই চাষ যে কৃষকদের লাভবান করে তুলতে পারে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

   

ইতিমধ্যেই আমাদের দেশে বিপুল সংখ্যক কৃষক এই চাষ শুরু করেছেন। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে কারি পাতা সাধারণত “মিষ্টি নিম” হিসেবেও পরিচিত। কারণ, নিম গাছের পাতার সাথে এই গাছের পাতার সাদৃশ্য রয়েছে। এমতাবস্থায়, চলুন জেনে নিই এই গাছের চাষ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য।

আরও পড়ুন: ডিম তো রোজই খান! কিন্তু সাদা অংশটার নাম কী ? উত্তর জানেন না ৯৯% ব্যক্তিই

কারি পাতার চাষ: এই চাষের ক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে নার্সারিতে প্রস্তুত গাছ কিনতে হবে। এর ফলে আপনি প্রথম বছরেই ভালো উৎপাদন পেতে শুরু করবেন। নাহলে আপনাকে এক্ষেত্রে দু’-তিন বছর অপেক্ষা করতে হবে। এদিকে, এই চাষের ক্ষেত্রে সেচের বিষয়টিতেও আপনাকে ভালোভাবে নজর দিতে হবে।

আরও পড়ুন: রিলায়েন্সে বিনিয়োগকারীদের বড় উপহার মুকেশ আম্বানির, বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছেন ভারতীয় ধনকুবের

মূলত, আপনাকে প্রতি ৭ দিন অন্তর গাছগুলিতে জল দিতে হবে এবং বর্ষাকালে যদি ক্ষেত শুকিয়ে যায় সেই সময়েও আপনাকে জল দিতে হবে। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এটি এমনই একটি চাষ যেটি আপনি একবার করে বছরের পর বছর ধরে লাভ পেতে থাকবেন। পাশাপাশি, এই চাষে খুব একটা বেশি খরচও হয় না।

 You will become profitable if you start cultivating this tree

কত হবে লাভ: কারি পাতার চাষ করলে প্রায় ৫ বছর পর ১০,০০০ কেজি কারি পাতা উৎপাদন হলেও সেখান থেকে আপনি ২,০০০ কেজি সংরক্ষণ করতে পারবেন। বাজারে এই পাতার ১ কেজির দাম হল প্রায় ১,০০০ টাকা। এমতাবস্থায়, আপনি যদি বাজারের চাহিদা এবং দামের ওপর ভর করে বুদ্ধিমত্তার সাথে এগুলি বিক্রি করেন সেক্ষেত্রে ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত উপার্জন সম্ভব।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর