বাংলা হান্ট ডেস্ক: বাস্তু শাস্ত্র অনুযায়ী, মা লক্ষ্মীর (Maa Laxmi) আশীর্বাদ পেতে কিছু কিছু বিষয়ের উপর বিশেষ নজর দেওয়া উচিত। এই প্রসঙ্গে বাস্তু বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে, ঝাড়ু হল মা লক্ষ্মীর প্রতীক। পাশাপাশি, বাড়িতে ঝাড়ু ব্যবহার ও রাখার সময় যদি কিছু জিনিসের প্রতি সতর্ক থাকা যায় তাহলে ওই বাড়ির সদস্যরা মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পান। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ঝাড়ু শুধুমাত্র পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য ব্যবহার করা হয় না। পাশাপাশি, এটি পুজোতেও ব্যবহৃত হয়।
শাস্ত্র অনুসারে, ঝাড়ু বাড়ি থেকে দারিদ্রতা দূর করতে এবং সুখ ও সমৃদ্ধি আনতে সাহায্য করে। বাস্তুশাস্ত্রে ঝাড়ু সংক্রান্ত অনেক নিয়ম ও ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে। বলা হয় যে, এটি বাড়ির সঠিক দিকে রাখলে ওই বাড়ি থেকে দারিদ্রতা দূর হয়। একই সাথে, ঝাড়ু সংক্রান্ত ছোটখাটো ভুলও কোনো ব্যক্তিকে দরিদ্র করে দিতে পারে। ঝাড়ুর সাথে সম্পর্কিত এই জিনিসগুলির প্রতি কিভাবে সতর্ক থাকবেন তা বর্তমান প্রতিবেদনে উপস্থাপিত করা হল।
ঝাড়ু সংক্রান্ত এই নিয়মগুলি মেনে চলা দরকার:
১. বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে বাড়িতে ঝাড়ু দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চললে দেবী লক্ষ্মীর কৃপা বজায় থাকে। উল্লেখ্য যে, ঝাড়ু দেওয়ার ক্ষেত্রে দিনের চার প্রহরকে উপযুক্ত বলে বিবেচিত করা হয়। অপরদিকে, রাতের চার প্রহরকে আবার ঝাড়ু দেওয়ার ক্ষেত্রে অনুচিত বলে মনে করা হয়। পাশাপাশি, এমনটাও বিশ্বাস করা হয় যে রাতের চার প্রহরে ঝাড়ু দিলে অর্থনৈতিক কষ্ট ও দারিদ্রতার ঘটনা ঘটে। কারণ, এর ফলে মা লক্ষ্মী রেগে যান।
২. বাস্তু বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ঝাড়ু সবসময় বাড়ির কোনো না কোনো জায়গায় লুকিয়ে রাখা উচিত। অর্থাৎ, সবসময় খেয়াল রাখতে হবে যে, ঝাড়ু যেন কারোর চোখে না পড়ে। এজন্য ঝাড়ু রাখার ক্ষেত্রে সঠিক স্থান নির্বাচন করা উচিত।
৩. বিশ্বাস করা হয় যে ঝাড়ু কখনোই সোজা ভাবে রাখা উচিত নয়। ঝাড়ুর এই অবস্থান ঘরে দারিদ্রতা ডেকে আনে। যেকারণে ঝাড়ু সবসময় ঘরে শুইয়ে রাখতে হয়।
৪. বাড়িতে ভাঙা ঝাড়ু ব্যবহার করাও অশুভ বলে মনে করা হয়। এমন অবস্থায় ঝাড়ু ভেঙে গেলে তা সঙ্গে সঙ্গে বদলে ফেলা উচিত। কথিত আছে, ভাঙা ঝাড়ু বাড়িতে রাখলে বাস্তু দোষ ঘটে।
৫. বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, ঝাড়ু কখনোই বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে রাখা উচিত নয়। এমতাবস্থায়, বাড়ির দক্ষিণ দিক বা পশ্চিম-দক্ষিণ দিক ঝাড়ুর জন্য শুভ বলে মনে করা হয়।