বাংলা হান্ট ডেস্ক: গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (Reserve Back Of India, RBI) টানা ৫ বার রেপো রেট বাড়িয়ে ৬.২৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করে। এমতাবস্থায়, রেপো রেট আরও বাড়ানো হতে পারে বলে অনুমান করছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তবে, এবার এই সংক্রান্ত জল্পনার অবসান ঘটালেন স্বয়ং RBI গভর্নর শক্তিকান্ত দাস (Shaktikanta Das)। এই প্রসঙ্গে গত শুক্রবার একটি বিবৃতিতে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী সুদের হার দীর্ঘ সময়ের জন্য উচ্চস্তরে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তাঁর মতে, “যদি ভূ-রাজনৈতিক বিরোধ চলতে থাকে, তাহলে বিশ্বজুড়ে এই উচ্চহার দীর্ঘকাল চলতে পারে।”
এদিকে, ভারতেও এমন পরিস্থিতি বিরাজ করবে কি না এই প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, “ভারতও বিশ্বের একটি অংশ।” তবে তিনি এটাও জানান যে, এই বক্তব্যকে ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে চলা মুদ্রানীতি কমিটির (এমপিসি) সভায় নেওয়া কোনো সিদ্ধান্তের পূর্বাভাস হিসাবে বিবেচনা করা উচিত নয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, RBI-এর মুদ্রানীতি কমিটি রেপো রেট-এর উত্থান-পতনের প্রসঙ্গে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
প্রধান উদ্বেগ হল মুদ্রাস্ফীতি: গভর্নর জানিয়েছেন যে, ৬ শতাংশের কাছাকাছি মূল মুদ্রাস্ফীতির হার ভালো পরিস্থিতি নয়। তাঁর মতে, বর্তমানে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও এখনও সঙ্কট পুরোপুরি কাটেনি। পাশাপাশি, এখনও এটিতে ক্রমাগত নজরদারির প্রয়োজন রয়েছে। তবে, তিনি এটাও বিশ্বাস করেন যে সাপ্লাই চেইনের সমস্যা হ্রাস এবং মুদ্রানীতির স্তরে সম্মিলিতভাবে গৃহীত সিদ্ধান্ত মুদ্রাস্ফীতির চাপ কমাতে পারে।
মুদ্রাস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা এখনই সংশোধন করার প্রয়োজন নেই: গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের মতে, ৪ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতির লক্ষ্যে এখনই পরিবর্তনের কোনো দরকার নেই। তিনি বলেন, এখনই লক্ষ্য পরিবর্তন করা সঠিক কাজ হবে না। কারণ, পরিসংখ্যানে ২ শতাংশের ওপর-নিচে হওয়া RBI-এর কাছে কিছুটা নমনীয়তা দেয়। মূলত, RBI-এর প্রধান কাজ হল মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা।
এজন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি বছর মূল্যস্ফীতির হার ৪ শতাংশ বৃদ্ধি সন্তোষজনক। এতে ২ শতাংশ বেশি ও ২ শতাংশ কমের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সামগ্রিকভাবে এই মুদ্রাস্ফীতির হার যদি প্রতি বছর ২ থেকে ৬ শতাংশের মধ্যে থাকে, সেক্ষেত্রে এটি উদ্বেগের বিষয় হবে না।