বাংলাহান্ট ডেস্ক : সাত সকালেই ছুরি নিয়ে একে তাকে কুপিয়ে যাচ্ছেন এক যুবক। সামনে কাউকে পেলেই তেড়ে গিয়ে তাঁকে ছুরির কোপ বসিয়ে দিচ্ছেন তিনি। কোনও রকমে তাঁকে আটকানো গেলেও শনিবার সকাল থেকে অন্তত ৮ জনের শরীরে ছুরির কোপ বসিয়েছেন তিনি। এই ঘটনায় ধুপগুড়ির (Dhupguri) বানারহাট এলাকায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা বেশ সংকটজনক। ধুপগুড়ি হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। কী কারণে এমন কাজ করলেন ওই যুবক, তা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁর পরিবার ও প্রতিবেশীরা। পুলিসের অনুমান মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি।
সকাল বেলাতেই এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বানারহাট ব্লকের সাকোয়াঝোরা ১ নম্বর গ্রামপঞ্চায়েতের সজনাপাড়া এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারাই আহতদের নিয়ে যায় ধুপগুড়ি হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানেই তাঁদের চিকিৎসা চলছে। যে যুবক ছুরি নিয়ে হামলা চালিয়েছেন তাঁর নাম তইজুল ইসলাম। শনিবার সকালে ঘুম থেকে উঠেই নাকি এভাবে ছুরি হাতে সবার উপর হামলা করা শুরু করেন তিনি। একের পর এক ব্যক্তিকে ছুরি নিয়ে আক্রমণ করতে শুরু করেন। পরে অবশ্য এলাকার বাসিন্দারা একসঙ্গে ধরে ওই যুবককে বেধড়ক পেটান। পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। আহত অবস্থায় তাইজুলকেও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ঘটনায় আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নূর হোসেন, ফরিদুল ইসলাম, মনিজা খাতুন ও রপিনা খাতুন নামের এই চারজনকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিন তাইজুলের ছুরিতে প্রথম আহত হন মজিনা খাতুন নামের এক মহিলা। তাঁর আর্তনাদ শুনে আশপাশের মানুষ ছুটে যান। তাঁকে বাঁচাতে গেলে বাকিদের ওপরও ছুরির কোপ মারেন তাইজুল। কেউ ভয়ে সামনে যেতেই পারছিলেন না। শুধু তাই নয়, বাড়ির পিছন দিকে ওই যুবক আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বলেও জানান তাঁর পরিবারের সদস্যরাই। তাঁদের দাবি, মানসিক ভারসাম্যহীন হলেও এতটা বাড়াবাড়ি আগে কখনও করেনি তাইজুল। তাই এদিনের হতবাক সকলে।
Made in India