পরিত্যক্ত জিনিস দিয়ে আয়রন ম্যানের সুট তৈরি করেছিল যুবক, বড় উপহার দিলেন আনন্দ মাহিন্দ্রা! Viral Video

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আয়রন ম্যান (Iron Man) এমনই একজন সুপারহিরো যার পরিচিতি রয়েছে সমগ্ৰ বিশ্বজুড়ে। এমনকি, আয়রন ম্যানের ব্যবহৃত বিশেষ স্যুট এবং প্রযুক্তি নিয়ে তার অনুরাগীদের মধ্যে আগ্রহের শেষ নেই। এমতাবস্থায়, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা এমন এক আয়রন ম্যান ভক্তের প্রসঙ্গ আপনাদের সামনে উপস্থাপিত করব যিনি মাত্র ২২ বছর বয়সেই এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। মূলত, মণিপুরের (Manipur) হেরোক জেলার প্রেম নিঙ্গোম্বাম পরিত্যক্ত জিনিসপত্র দিয়েই আয়রন ম্যানের একটি স্যুট তৈরি করে ফেলেন।

২০২১ সালে এই কাজের জন্য তিনি উঠে আসেন লাইমলাইটে। পাশাপাশি, সেই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ভাইরালও হয়ে যায় নেটমাধ্যমে। যেটি দেখে ফেলেন কয়েক লক্ষ জন। পাশাপাশি, ওই ভিডিওটি পৌঁছে যায় ভারতীয় বিজনেস টাইকুন আনন্দ মাহিন্দ্রার কাছেও। শুধু তাই নয়, তিনি প্রেমের ওই ভিডিওটি শেয়ারও করেন।

আনন্দ মাহিন্দ্রা হয়েছিলেন প্রভাবিত: জানা গিয়েছে যে, গত বছরের সেপ্টেম্বরে পরিত্যক্ত জিনিস থেকে “আয়রন ম্যান” স্যুট তৈরি করার ওই ভিডিও দেখার পরে মাহিন্দ্রা প্রেমের সাথে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে তাঁর অটো সেক্টরের অংশীদার শিভাজ অটোটেক ইম্ফলে প্রেম এবং তাঁর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে। পাশাপাশি, প্রেম সম্পর্কে জানতে পেরে আনন্দ জানিয়েছিলেন, “আমি প্রেমের উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং দক্ষতা দেখে বিষ্মিত এবং অনুপ্রাণিত।”

শুধু তাই নয়, মাহিন্দ্রা গ্রুপের চেয়ারম্যান হাতে-কলমে শেখার প্রতি প্রেমের যে ঝোঁক রয়েছে তার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। মাহিন্দ্রা বলেছেন, “আমাদের এই ধরণের শিক্ষার আরও প্রয়োজন।” পাশাপাশি, সম্প্রতি প্রেমের পুরোনো ভিডিওটি শেয়ার করে আনন্দ জানিয়েছেন, “আপনাদের অনেকেরই প্রেমকে মনে থাকবে। আমরা আনন্দিত হয়েছিলাম যখন প্রেম মাহিন্দ্রা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের প্রস্তাব গ্রহণ করেছিলেন। সেখানে তিনি এখন একজন ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র হিসেবে গত গ্রীষ্মে প্রতাপ বোসের তত্বাবধানে মাহিন্দ্রার অটো ডিজাইন স্টুডিওতে ইন্টার্নশিপ সম্পন্ন করেছেন।”

পাশাপাশি, তিনি আরও লিখেছেন, “আমি আনন্দিত হয়েছিলাম যখন প্রতাপ আমাকে বলেছিলেন যে, প্রেমের গ্রীষ্মকালীন ইন্টার্নশিপ অত্যন্ত সফল হয়েছে। সেখানে প্রেম উন্নত গাড়ির দরজা খোলার পদ্ধতিতে কাজ করেছেন৷ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে প্রতাপ প্রেমের ‘জিনিস তৈরি করে শেখার’ প্রতি ঝোঁকের প্রশংসা করেছিলেন। আমাদের এই শিক্ষা পদ্ধতি আরও বেশি প্রয়োজন।”


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর