খরচ জোগাতে হবে কোচিংয়ের! দিনের বেলায় পড়াশোনা সামলে রাতে চা বিক্রি করে সবার মন কাড়ল যুবক

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের চারপাশে এমন অনেকেই থাকেন যাঁরা জীবনের প্ৰতিবন্ধকতাগুলির কাছে মাথা নত না করে মনের জোরকে সম্বল করেই সেগুলিকে প্রতিহত করে ফেলেন। যার ফলে তাঁরা সকলের কাছেই এক অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে ওঠেন। পাশাপাশি, তাঁরা এভাবেই পূরণ করে ফেলেন তাঁদের লক্ষ্যও। বর্তমান প্রতিবেদনেও আজ আমরা আপনাদের কাছে ঠিক সেইরকমই এক লড়াকু যুবকের (Youth) প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব।

পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। নেই কোচিং ফি দেওয়ার মত সামর্থ্যও। তাই বলে পড়াশোনা বন্ধ করেন নি অজয় নামের ওই যুবক। বরং, কোচিং ফি জোগাড় করতে নিজেই উপার্জনের পথ খুঁজে বের করে ফেলেছেন তিনি। দিনের বেলাটা পড়াশোনার কাজে অতিবাহিত করে তিনি রাত্রিবেলাটাকেই কাজে লাগান। সাইকেলে করে ঘুরে ঘুরেই চা বিক্রি করেন অজয়।

ইতিমধ্যেই অজয়ের এইভাবে চা বিক্রির ভিডিও সামনে এসেছে নেটমাধ্যমে। যেটি দেখে তাঁকে কুর্ণিশ জানাচ্ছেন সকলেই। পাশাপাশি, অজয়ের এই লড়াকু মানসিকতার প্রশংসাও করেছেন নেটিজেনরা। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, অজয়ের বাড়ি মধ্য প্রদেশের (Madhya Pradesh) ইন্দোরে (Indore)। দোকান খোলার সামর্থ্য না থাকায় তিনি সাইকেলের মাধ্যমেই চা বিক্রি করছেন। আর এভাবেই “Cycle Wali Chai”-এর মাধ্যমে অজয় জোগাড় করে ফেলছেন তাঁর কোচিং ফি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, গোবিন্দ গুর্জর নামের এক সাংবাদিক নিজের টুইটার হ্যান্ডলে অজয়ের এই ভিডিওটি শেয়ার করেছেন। যেটিতে দেখা গিয়েছে, সাইকেলে চেপেই চা বিক্রি করে চলেছেন অজয়। তাঁর সাইকেলের পিছনে লাগানো রয়েছে চায়ের কেটলি।

শুধু তাই নয়, ভিডিওটির শেষে সাইকেল থেকে নেমে এক ব্যক্তিকে চা দিতেও দেখা গেল তাঁকে। এদিকে, ইতিমধ্যেই এই ভিডিওটি তুমুল ভাইরাল হতে শুরু করেছে নেটমাধ্যমে। প্রায় ১১ হাজার জন ভিডিওটি দেখে ফেলেছেন। পাশাপাশি, ভিডিওটি পছন্দও করছেন সকলে। পড়াশোনার খরচ চালাতে অজয় যেভাবে উপার্জনের পথ বেছে নিয়েছেন তা প্রত্যক্ষ করে সকলেই তাঁর ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর