বাংলাহান্ট ডেস্ক : হস্তমৈথুন একটি স্বাভাবিক মানব ক্রিয়া। একান্তে কারোর উপর নির্ভর না করে যৌন সুখ পেতে নারী ও পুরুষ উভয়ই হস্তমৈথুন করে থাকেন। পুরুষদের হস্তমৈথুন স্বাভাবিক হিসাবে ধরে নিলেও নারীদের হস্তমৈথুন সম্পর্কে সামাজিকভাবে প্রচলিত আছে বিভিন্ন ট্যাবু। হস্তমৈথুনের উপকার বা অপকারিতা সম্পর্কে নানাবিধ মতও প্রচলিত আছে। কিন্তু হস্তমৈথুনের সময় যদি কোন রকমের শারীরিক ক্ষতি হয় তা প্রাণ সংশয়ের দিকেও নিয়ে যেতে পারে!
সম্প্রতি এমন একটি ঘটনা সামনে এসেছে কলকাতার নীলরতন সরকার হাসপাতালে। চরম যৌন সুখ পেতে এক কিশোরী নিজের যোনির মধ্যে ঢুকিয়ে ফেলেছিলেন একটি টর্চ। তারপর ৮ বছর পর অপারেশন করে সেই টর্চ বার করলেন নীলরতন সরকার হাসপাতালের চিকিৎসকেরা।
অত্যন্ত সংকটজনক অবস্থায় নীলরতন সরকার হাসপাতাল নিয়ে আসা হয় ওই তরুণীকে। চিকিৎসকেরা জানান দীর্ঘ ৮ বছর ধরে নিজের শরীরে একটি টর্চ বহন করে চলছিলেন ওই তরুণী। এর ফলে তার জরায়ু ও রেকটাম ভয়াবহভাবে জুড়ে গিয়েছিল। সাথে চলত বমি ও রক্তপাত। জটিল অস্ত্রপাচারের মাধ্যমে এই মেয়েটির প্রাণ রক্ষা করলেন চিকিৎসকেরা।
এই তরুণী চিকিৎসকদের জানিয়েছেন, যখন তার বয়স ১৫ বছর তখন থেকেই সে হস্তমৈথুন করত। একদিন চরম উত্তেজনার বশে যোনিতে প্রবেশ করান একটি টর্চ। পিচ্ছিল থাকায় সেই টর্চটি ঢুকে যায় ভিতরে। এরপর লজ্জায় তিনি বাড়ির কাউকে এই ঘটনা বলতে পারেননি। এরপর থেকে শুরু হয় তার নানা রকম শারীরিক সমস্যা। অনিয়মিত হয়ে পড়ে ঋতুস্রাব। একটা সময় বিয়েও হয়ে এই তরুণীর। তারপর থেকে শুরু হয় সমস্যা।
এনআরএস গাইনি বিভাগের অধ্যাপক ডা. রুণা বল, প্লাস্টিক সার্জন ডা. অমিত রায় ও ডা. সৌরদীপ দত্ত এই তরুণীর চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচারের দায়িত্বে ছিলেন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ৫ সেমি লম্বা ও ৩ সেমি চওড়া একটি টর্চ ঢুকে গিয়েছিল জরায়ুতে। সেটি বিপদজনকভাবে রেকটাম বা পায়ুদ্বারের সাথে জুড়ে গিয়েছিল। এরফলে জরায়ু থেকে মল বেরোতে শুরু হয়। চার ঘন্টার জটিল অস্ত্রোপচারের পর বার করা সম্ভব হয়েছে টর্চটি। চিকিৎসকের আরো জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে তরুণী টিকে বিপদ মুক্ত বলা যায় না। আরো দুটি অপারেশন হবে। দুঃখের কথা এই মেয়েটি ভবিষ্যতে আর কখনো মা হতে পারবে না।