“এখানে কাজ করে মেলে শান্তি”, গোরস্থানে চাকরি করছেন স্নাতকোত্তর যুবতী! বেতন শুনে চমকে উঠবেন

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে যুগের সাথে পাল্লা দিয়ে প্রত্যেক যুবক-যুবতীই পড়াশোনা শেষ করে ভালো কোনো চাকরি করার মাধ্যমে ভবিষ্যত সুরক্ষিত করতে চান। এমনকি, এই ভাবনাকে মাথায় রেখেই পড়াশোনার প্রতিটি ধাপ অতিক্রম করেন তাঁরা। এমতাবস্থায়, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা এমন একজন যুবতীর প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব যিনি গতানুগতিক চাকরির প্ৰতি আকৃষ্ট না হয়ে এক অদ্ভুত কাজকে বেছে নিয়েছেন।

এমনকি, ওই কাজের জন্য যুবতীটি মাসের শেষে ভালো বেতনও পান। জানা গিয়েছে, ২২ বছর বয়সী ওই যুবতী কবরস্থানের বিভিন্ন কাজ করেন। মূলত, কবরস্থান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার পাশাপাশি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সাথে জড়িত একাধিক কাজও দেখাশোনা করেন তিনি। আর এর জন্য ওই যুবতী প্রতি মাসে ৪৫ হাজার টাকা বেতনও পান। তিনি প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত কাজ করেন। শুধু তাই নয়, প্রতি সপ্তাহে তিনি একটি ছুটিও পান। এমতাবস্থায়, তিনি নিজেকে “কবর রক্ষক” হিসেবে বিবেচিত করেন।

এই প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, ওই যুবতীটির নাম হল ট্যান। তিনি একটি কবরস্থানে কাজ করেন। মূলত, তিনি জীবন এবং চাকরির মধ্যে একটি ভারসাম্য বজায় রাখতে চেয়েছিলেন। তাই ট্যান সমস্ত কোলাহল থেকে দূরে গিয়ে একটি শান্তিপূর্ণ জায়গায় কাজ শুরু করেন।এমতাবস্থায়, তিনি সেই চাকরি বেছে নেন যা তাঁকে মানসিক শান্তি দেয়।

অফিস পলিটিক্সের কারণে দুঃখ পেয়ে কবরস্থানে চলে আসেন: ট্যান জানান যে, কবরস্থানে কাজ করে তিনি খুব শান্তি পান। পাশাপাশি, সেখানে অফিস পলিটিক্সের কোনো বিষয় নেই। এটি তাঁর জন্য সহজ এবং আরামদায়ক কাজ। এছাড়াও, সেখানে কুকুর, বিড়ালের মত পোষ্যের পাশাপাশি ইন্টারনেটের সুবিধাও আছে। এমতাবস্থায়, তিনি এই কাজ নিয়ে বেশ সন্তুষ্ট।

এই প্রসঙ্গে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট অনুসারে, জানা গিয়েছে, ট্যান কবরস্থানে কাজ করার জন্য প্রতি মাসে প্রায় ৪,০০০ ইউয়ান বা ভারতীয় মুদ্রায় ৪৫ হাজার টাকা বেতন পান। পাশাপাশি, তিনি সপ্তাহে একদিন ছুটিও পান। সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত তাঁকে ডিউটি করতে হয়। পাশাপাশি, দুপুরে দু’ঘণ্টার লাঞ্চ ব্রেকও পাওয়া যায়।

WhatsApp Image 2022 11 24 at 8.17.55 PM

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ট্যান তাঁর এই কাজের ছবি এবং ভিডিও চিনের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম টিকটকে শেয়ার করেন। মূলত, তিনি পশ্চিম চিনের চংকিংয়ের এক পাহাড়ে অবস্থিত কবরস্থানে কাজটি করেন। এমতাবস্থায়, ওই কবরস্থানে তাঁর কাজের ভিডিও দেখতে নেটমাধ্যমে ভিড় জমান নেটিজেনরাও। সর্বোপরি, অনেকেই তাঁর কাজ দেখে বিষ্মিত হয়ে পড়েন। পাশাপাশি, অনেকে আবার তাঁর এই সাহসী মানসিকতার ভূয়সী প্রশংসাও করেছেন।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর