বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ক্রিকেট খেলে ফিরতে গিয়ে হাতাহাতি এবং তার জেরে যুবকের মৃত্যু! হ্যাঁ, ঠিক এমন ঘটনাই এবার ঘটলো মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের পলসন্ডা মোড়ের কাছে। ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি যে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যের সাথে প্রথমে বিরোধ ঘটে এবং তারপর সেই বিরোধের ফলস্বরূপ দল বেঁধে আক্রমণ করা হয় ওই যুবকের উপর এবং তাকে পিটিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফেলে রাখা হয়। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তারকনাথ ঘোষের।
বন্ধুদের সাথে মাঝে মাঝেই বিভিন্ন স্থানীয় টুর্নামেন্টে ক্রিকেট খেলতে যেতেন তারক। গত রবিবার নবগ্রামের চ্যাংমারা এলাকায় ক্রিকেট খেলতে গিয়েছিলেন তার গ্রামের সদস্যদের সাথে। খেলতে গিয়ে সেই টুর্নামেন্টটি জিতেও নিয়েছিলেন তারকরা। তারপর বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দ, হুল্লোড় করতে করতে গ্রামে ফেরার পথে ঘটে বিপত্তি।
শোনা গিয়েছে যে তখন নবগ্রাম কিষান মাণ্ডির কাছে পথসভা করছিলো তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। সেই এলাকা ঠিকঠাক মতো পার করতে না পারে জোরে জোরে হর্ন বাজাতে শুরু করে তার তারকাদের দল। এরপর এই হর্ন বাজানো কে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে বিবাদ। ছাত্র পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে ওই ক্রিকেট দলের বচসা বেড়ে ওঠে। গন্ডগোল এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে এলাকাবাসীদের হস্তক্ষেপ করে শান্ত করতে হয় দুই পক্ষকে।
তাৎক্ষণিকভাবে শান্ত হলেও বিবাদের কারণে প্রতিশোধ নেওয়ার চিন্তা চলতে থাকে ছাত্র পরিষদ সদস্যদের মাথায়। দাবি করা হয়েছে যে বাইকে করে তারকদের দলটির পিছনে ধাওয়া করেছিল তারা। বেগতিক দেখে বাকিরা পালিয়ে গেলেও তারক পালাতে পারেননি। তাকে রাস্তায় ফেলে বিশ্রী ভাবে মারা হয়। এরপরে স্থানীয়রা তাকে বাঁচাতে এলে হামলাকারীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।
তারকের দলের সদস্য পলাশের কাছ থেকে জানতে পাওয়া গেছে গোটা ঘটনা। তাকে এরপর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তারককে মৃত বলে ঘোষণা করে। এই ঘটনায় আসিফ শেখ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু তৃণমূল এই ঘটনার দায় নিতে চাইনি। মুর্শিদাবাদের জেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের জানেন যে এটি দুটি স্থানীয় দলের মধ্যে গন্ডগোলের ঘটনা। এর সাথে তৃণমূলের কোনো যোগ নেই।