বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের বাংলা (West Bengal) নানা রকমের বৈচিত্র্যে ভরা। পাহাড়, পর্বত, জঙ্গল, নদী, ঝরনা সমস্ত কিছু দিয়েই গড়ে উঠেছে আমাদের পশ্চিমবঙ্গ। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়, সেই সমস্ত কিছুর সৌন্দর্য্য ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে। বিশেষ করে, নদীগুলিতে যেন জল শূন্যতা দেখা যাচ্ছে। হারিয়ে যাচ্ছে একের পর এক ছোট নদী। আর এবার সেই ছোট নদী বাঁচাতে বিশেষ উদ্যোগ যুবকদের। যা দেখে সাধুবাদ জানাচ্ছেন বাংলার মানুষ।
পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) ছোট নদী বাঁচাতে বিশেষ উদ্যোগ যুবকদের:
জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) ছোট নদী বাঁচাতে ৭৫০ কিমি পথ সাইকেল র্যালি করা হয়। বীরভূম থেকে কলকাতা অবধি সাইকেল চালিয়ে র্যালি করা হয়। এই যাত্রাপথে যুক্ত ছিল নয়টি জেলা। প্রতিটি জেলায় ছোট নদী বাঁচানোর বার্তা প্রেরণ করা হয়। জানা গিয়েছে, চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি বীরভূমের সিউড়ি থেকে সূচনা হয় এই র্যালি। বীরভূম থেকে যাত্রা শুরু করে এক একটি জেলায় প্রবেশ করে এই দুচাকার র্যালি।
জানা গিয়েছে, এই র্যালিতে যোগদান করেন বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য এবং পরিবেশ সচেতনী মানুষ। তাঁদের মূল বার্তা হল ছোট নদীর দিকে নজর দিন। তথ্যসূত্রে জানা যায়, প্রথমে বীরভূম থেকে শুরু হয় যাত্রা, এরপর পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি, হাওড়া, হয়ে কলকাতা মোট নয়টি জেলায় প্রবেশ করেন তাঁরা। হুগলি জেলার খানাকুল থেকে হাওড়া জেলায় উদয়নারায়নপুর ব্লকে প্রবেশ।
আরও পড়ুন: থামল পথচলা, জি বাংলার টপার সিরিয়ালের এমন করুণ পরিণতি কেন?
জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) মুণ্ডেশ্বরী, দামোদর নদী, কানা দামোদর নদী, দামোদর শ্রুতি খাল, রাজাপুর খাল, সরস্বতী নদী, মৌখালি খাল ও শেষে গঙ্গা নদী বাঁচানোর বার্তা। জানা গিয়েছে, সভা ও পরিবেশ কর্মসূচি করার পর আমতায় পৌঁছায়। এরপর আমতা কলাতলা মোড়ে একটি পথসভা করেন তাঁরা। এমনকি সেখানে র্যালি হয়ে পাঁচলা গাববেড়িয়ায় হয়ে রানিহাটিতে পথসভা করা হয় বলে জানা গিয়েছে। এরপর আন্দুল চুনাভাটি মন্দিরতলা হয়ে রামকৃষ্ণপুর গঙ্গার ঘাটে জেলার অন্তিম কর্মসূচি ও নদী বাঁচাতে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: ৭ রকমের আইটেম কিনা এত টাকায়! ‘রচনাদি’র ভেজ থালিতে নন্দিনীকেও টেক্কা দিচ্ছেন ভাইরাল শিলাদি
হাওড়া জেলায় এই দীর্ঘ সাইকেল র্যালিতে হাওড়া জেলার বিভিন্ন নদী ও খালগুলিকে নিয়ে আলোচনা করা হয়। হাওড়ায় কর্মসূচি শেষ হলে রামকৃষ্ণপুর ঘাট থেকে ফেরি পেরিয়ে কলকাতায় পৌঁছয়। এ প্রসঙ্গে নদী বাঁচাও আন্দোলন কর্মী তাপস দাস জানান, “এই র্যালির মাধ্যমে নদী পরিদর্শনে প্রধান চারটি কারণ উঠে আসে। প্রথমত নদীর জল শূন্যতা, নদী দূষণ, নদী দখল এবং বিভিন্ন নদী থেকে বালি লুঠ।” তাঁরা সকলে একটাই বার্তা দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) ছোট নদীগুলি বাঁচানো হোক।