বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের আইনমন্ত্রী তিনি। সেই মলয় ঘটকের (Moloy Ghatak) বাড়িতে হামলা। অভিযোগ, তাঁর বাড়ির অফিসের টেবিলের কাঁচ থেকে শুরু করে একাধিক আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই হামলাকারীকে আটক করা হয়েছে। দফায় দফায় তাঁকে জেরা করছে পুলিশ (Police)।
আইনমন্ত্রী মলয়ের (Moloy Ghatak) বাড়িতে হামলার ঘটনায় তোলপাড়!
বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে উত্তরবঙ্গ সফরে ছিলেন মলয়। সেই ফাঁকা পরিস্থিতিতে আইনমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত। জানা যাচ্ছে, গতকাল দুপুরে আইনমন্ত্রীর আসানসোলের বাড়িতে ঢুকে পড়েন সেই যুবক। নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে বাধা দেন। তবে কিছুক্ষণ পর তাঁদের চোখে ফাঁকি দিয়ে মলয়ের বাড়ি সংলগ্ন অফিসের মধ্যে ঢুকে পড়েন অভিযুক্ত।
এরপর আইনমন্ত্রীর অফিসে থাকা টেবিলের কাঁচ ভেঙে দেয় সে। ভাঙচুরের শব্দ কানে আসার পর সেখানে ছুটে যান নিরাপত্তারক্ষীরা। তখন দেখা যায়, আরেকটি আসবাব ভাঙছে ওই যুবক। তখনই তাঁকে হাতেনাতে ধরা হয়। জানা যাচ্ছে, ধরা পড়ার পর ওই যুবক বলেন, ‘সার্টিফিকেট করে দেবে বলে এখনও দিল না’!
আরও পড়ুনঃ ৩ দিনের মধ্যে খালি করতে হবে! রবি থেকেই শুরু ‘অ্যাকশন’? নোটিশ পাঠিয়ে দিল কলকাতা পুরসভা
খোদ মলয়ের (Moloy Ghatak) বাড়িতে যুবকের ভাঙচুর চালানোর এই ঘটনা ঘিরে ইতিমধ্যেই জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে। মন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকে যদি এমনটা করা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? মাথাচাড়া দিয়েছে এই প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় এক যুবককে আটক করেছে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ। কেন এই কাণ্ড ঘটালেন তিনি? এই নিয়ে তাঁকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
জানা যাচ্ছে, আইনমন্ত্রীর বাড়িতে হামলার এই ঘটনার পর সেখানে পৌঁছয় আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি সেন্ট্রাল ধ্রুব দাস, এসিপি সেন্ট্রাল বিশ্বজিৎ নস্করের নেতৃত্বে বিরাট পুলিশবাহিনী। মলয়ের আবাসনের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখা হয়। অভিযুক্ত যুবক কীভাবে নিরাপত্তারক্ষীদের চোখে ফাঁকি দিয়ে মন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকে পড়লেন, দেখা দিয়েছে সেই প্রশ্ন।
এদিকে মলয়ের (Moloy Ghatak) বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনায় ধরা পড়া যুবকের দাবি, তাঁকে কেউ এই কাজের জন্য পাঠায়নি। মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা না করতে পেরে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। পুলিশের তরফ থেকে এই ঘটনাটিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে বলে খবর। অভিযুক্ত যুবকের অন্য কোনও উদ্দেশ্য ছিল কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।