কলকাতায় (kolkata) করোনা সংক্রমণের প্রথমেই এক আমলার ছেলের দ্বায়িত্বজ্ঞানহীনতার উদাহরণ দেখেছিল রাজ্য। বিদেশ থেকে ফিরে জ্বর থাকা সত্ত্বেও সে ঘুরেছিল শহরের বিভিন্ন প্রান্তে। এবার ফের একবার একই রকম দ্বায়িত্ব জ্ঞানহীনতার পরিচয় দিল চুচুড়ার তিন যুবক।
ব্রিটেনে ছড়িয়ে পড়েছে অভিযোজিত করোনা ভাইরাস। সাধারণ করোনা ভাইরাসের চেয়ে ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রামক এই জীবানুর কারনে ইতিমধ্যেই কাঁপছে ব্রিটেন। ব্রিটেন থেকে আসা সমস্ত যাত্রীদের বাধ্যতামূলক ভাবে কোয়ারিন্টেনে থাকার নির্দেশ জারি করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই বিধির তোয়াক্কা না করে পরিবার নিয়ে ঘুরতে গেল ৩ যুবক।
ডুয়ার্সে ঘুরতে গিয়ে রাজাভাতখাওয়ায় বন দফতরের সরকারি লজে উঠেছিলেন ঐ তিন যুবক৷ রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তর এই খবর পাওয়ার পরেই নড়ে চড়ে বসে। ঐ তিন যুবক, তাদের পুরো পরিবার ও লজের প্রত্যেক কর্মীর করোনা টেস্ট করা হয়েছে। তাদের খুব শীঘ্রই রিপোর্ট এসে যাবে স্বাস্থ্য দপ্তরের হাতে। এই মুহুর্তে তারা প্রত্যেকেই লজের ভিতরে আইসোলেশনে আছেন।
জানিয়ে রাখি, ইতিমধ্যে কলকাতায় ব্রিটেন ফেরত এক যুবকের শরীরে মিলেছে করোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেন। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তার। জানা যাচ্ছে, ঐ যুবক স্বাস্থ্য দপ্তরের এক আধিকারিকের ছেলে। ২০ ডিসেম্বর কলকাতা ফেরেন তিনি। তার শরীরে করোনার কোনো উপসর্গ ছিল না। বিমানবন্দরে রুটিন চেক আপের সময় তার দেহে মারন ভাইরাসের উপস্তিতির কথা জানা যায়৷
স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা যাচ্ছে, মোট সাতটি নমুনার মধ্যে একমাত্র তার শরীরেই অভিযোজিত করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মিলেছে। ব্রিটেন ফেরত মোট ৭ জন করোনা আক্রান্তের লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য NCDC-তে পাঠানো হয়েছিল। মঙ্গলবার রাতে তার রিপোর্ট আসলে একমাত্র তার দেহেই অভিযোজিত করোনা ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। তবে স্বাস্থ্য ভবনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, তার শরীর থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার কোনো আশা নেই।