বাংলাহান্ট ডেস্ক: মানুষ হারিয়ে যায়, রয়ে যায় স্মৃতি। সেই স্মৃতি যতটা কষ্টদায়ক ততটাই বাস্তব। গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রয়াত হয়েছেন ইউটিউবার অমিত মণ্ডল (Amit Mondal)। বিশেষ ভাবে সক্ষম অমিত গত ১৪ ফেব্রুয়ারি এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। স্কুটিতে চেপে বকখালি যাচ্ছিলেন তিনি। তখনি পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় অমিতের। তাঁর অকালপ্রয়াণে শোকের পরিবেশ নেমে এসেছিল বাংলা ইউটিউব কমিউনিটিতে।
ইউটিউব জগতে বেশ জনপ্রিয় নাম ছিল অমিত মণ্ডল। সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা ছিল ভালোই। ইউটিউব থেকেই মূলত রোজগার করতেন তিনি। ছেলের আয়ে চলত দুঃস্থ বাবা মায়ের সংসার। ছেলে হারিয়ে গিয়েছে চিরতরে। কিন্তু এখনো বাবা মায়ের প্রতি দায়িত্ব পালন করে চলেছেন অমিত। তাঁর আয়েই এখনো চলছে তাঁদের সংসার।
দক্ষিণ ২৪ পরগণার ফ্রেজারগঞ্জেই বাবা মায়ের সঙ্গে থাকতেন অমিত। প্রথমে খুব একটা স্বচ্ছল অবস্থা ছিল না তাঁদের। অমিতের বাবা মা পেশায় ছিলেন সাফাইকর্মী। ছোট থেকেই টানাটানির সংসারে বড় হয়েছেন অমিত। কিন্তু নিজের মনের জোরে, ইচ্ছাশক্তির জোরে ইউটিউব প্ল্যাটফর্মে নিজের নাম করেছিলেন তিনি।
ইউটিউব থেকেই উঠে আসত তাঁর রোজগারের টাকা, যে টাকার জোরে হাল অনেকটাই ফিরেছিল তাঁর পরিবারের। অমিত চলে গেলেও তাঁর ইউটিউব ভিডিওগুলি এখনো জনপ্রিয় রয়েছে। সেখান থেকে এখনো টাকা পাচ্ছেন অমিতের বাবা মা চিত্ত এবং সন্ধ্যা মণ্ডল। তবে কতদিন টাকা আসবে সেটা কেউই জানেন না। দুজনের পক্ষে আর রোজগার করা সম্ভব নয়। ইউটিউব থেকে টাকা আসা বন্ধ হয়ে গেলে কীভাবে দিন গুজরান হবে তা জানেন না অসহায় দুই বৃদ্ধ বৃদ্ধা।
তবে সংবাদ মাধ্যমকে তাঁরা জানান, অমিতের দুই বন্ধু নিয়মিত তাঁদের খোঁজখবর নেয়। তারা ভিডিও সংক্রান্ত কাজে সাহায্য করত অমিতকে। এখন ইউটিউবারের বাবা মাকে সাধ্যমতো অর্থ সাহায্য করছে তারা। পাশাপাশি সরকার থেকে ভাতার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। একমাত্র ছেলের স্মৃতি নিয়েই বেঁচে রয়েছেন হতভাগ্য বাবা মা।