বাংলা হান্ট ডেস্কঃ যুবরাজ সিং ভারতীয় ক্রিকেটের এক অন্যতম কিংবদন্তি। এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান, পার্টটাইম বোলার এবং দুরন্ত ফিল্ডার বহুবার একা হাতে বদলে দিয়েছেন ম্যাচের রং তা সে ২০০৭ এর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হোক কিম্বা ২০১১ সালের বিশ্বকাপ। একদিকে যেমন ২০১১ সালে বিশ্বকাপে ক্যান্সারের যন্ত্রণাকে সঙ্গী করে ম্যান অব দ্যা সিরিজ হয়েছিলেন এই ক্রিকেটার তেমনি অন্যদিকে ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও দুর্দান্ত পারফরমেন্স উপহার দেন তিনি।
একদিকে যেমন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তার ছয় বলে ছটা ছয় এখনও চোখে ভাসে দর্শকদের, তেমনি আবার সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তার ৭০ রানের ইনিংস ছাড়া ভারতের পক্ষে জয় ছিল প্রায় অসম্ভব। ১৪ বছর বাদে এই প্রথমবার অধিনায়কত্ব না পাওয়ার দুঃখের কথা স্বীকার করে নিলেন যুবরাজ সিংহ। সেটা ছিল ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময়। প্রথমবার ভারতীয় দলের অধিনায়কত্ব পান মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। কিন্তু অভিজ্ঞতায় তার থেকে যুবরাজ ছিলেন অনেকটাই এগিয়ে।
যুবরাজ জানিয়েছেন, ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে বিধ্বস্ত হওয়ার পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে কেউ তখন সিরিয়াসলি নিতে চায়নি। কারণ তারপরেই আয়ারল্যান্ড ট্যুর ছিল ভারতের। দুই মাসের মধ্যে ছিল ইংল্যান্ড সফরও। তাই দলের অনেক সিনিয়ার খেলোয়াড়রাই রেস্ট চাইছিলেন। সেইসময় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা হলে দেখা যায় অধিনায়ক হয়েছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। তবে যুবরাজ আশা করেছিলেন সে সময় অধিনায়ক হতে পারতেন তিনি।
২২ ইয়ার্নসের পডকাস্টে কথা বলতে গিয়ে যুবরাজ সিং তার বিবৃতিতে বলেন, “তখন সিনিয়র খেলোয়াড়রা ভেবেছিলেন তাদের ক্রিকেট থেকে বিরতি দরকার এবং তখন কেউ টি -টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছিল না। এমন পরিস্থিতিতে আমি আশা করছিলাম টি -টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের অধিনায়কত্ব পাব। কিন্তু যখন ঘোষণা করা হয়েছিল, তখন ধোনি ছিলেন অধিনায়ক।”