নিজেই নিজের জীবনের সিদ্ধান্ত নেব! বেঁচে ফিরতেই প্রতিবাদী রাই, উচিত শিক্ষা পেল অনির্বাণ

বাংলা হান্ট ডেস্ক : এই মুহূর্তে দর্শকমহলে ব্যাপক চর্চিত সিরিয়াল হয়ে উঠেছে জি বাংলার ‘মিঠিঝোড়া’ (Mithijhora)। টিআরপি তালিকায় সিরিয়ালটি সেভাবে ছাপ ফেলতে না পারলেও দর্শকমহলে এই মেগা নিয়ে কৌতুহলের অন্ত নেই। এই সিরিয়ালের রায়পূর্ণা ওরফে রাই (Rai) এই  সিরিয়ালের প্রাণ। পর্দায় রাইয়ের ভূমিকায় অভিনয় করছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী আরাত্রিকা মাইতি।

এসে গেল ‘মিঠিঝোড়া’ (Mithijhora) সিরিয়ালের আরও এক নতুন প্রোমো

জি বাংলার এই জনপ্রিয় মেগার (Mithijhora) আগামী পর্ব গুলিতে আসছে দুর্দান্ত চমক। এই মুহূর্তে দেখা যাচ্ছে অসুস্থ রাই অপারেশন থিয়েটারে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও তাঁর স্বামী অনির্বাণ তাঁকে ভুল বুঝে তাঁর  থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। গত পর্বেই দর্শক দেখেছেন সিরিয়ালে (Mithijhora) ক্যান্সার আক্রান্ত রাই। কিন্তু প্রথমবার সেটা ধরতে পারেননি চিকিৎসকরা।

   

রিপোর্ট ভুল আসায় রাইয়ের প্রেগন্যান্সির  কথা শুনেই বেঁকে বসে অনির্বাণ (Anirban)। রাই বারবার বলা সত্বেও অন্য ডাক্তারের পরামর্শ নেয়নি সে। কিন্তু পরবর্তীতে রাই নিজেই অন্য ডাক্তার দেখিয়ে জানতে পারে তার শরীরে বাসা বেঁধেছে  ক্যান্সার। ধারাবাহিকের গত পর্বে দেখা যাচ্ছে রাইয়ের অপারেশন চলছে। কিন্তু সত্যি না জেনেই অনির্বাণ রাইয়ের মাকেও তাঁর মেয়ের সম্পর্কেই  উল্টোপাল্টা কথা বলে আসে।

আরও পড়ুন : ‘রিমলি’ ভক্তদের জন্য সুখবর! ৩ বছর পর কামব্যাক করছেন জন-ইধিকা জুটি

কিন্তু পরে সত্যিটা জানতে পেরে আত্মগ্লানিতে ভুগতে শুরু করে রাইয়ের মা নন্দিতা। পরে অপারেশন থিয়েটারে রাইয়ের অবস্থা খারাপ হতে থাকে। কিন্তু রাইকে বাঁচানোর জন্য প্রাণপণ লড়াই করতে থাকেন চিকিৎসকরা। অন্যদিকে দেখা যায়  সত্যি জানতে পেরে হাসপাতালে ছুটে আসে অনির্বাণ। কিন্তু স্রোত অনির্বাণকে তার দিদির কাছেও ঘেঁষতেও দেয় না।

 

এরই মধ্যে এসে গিয়েছে ধারাবাহিকের একটি নতুন প্রোমো। সেখানে দেখা যাচ্ছে রাই হাসপাতাল থেকে হুইলচেয়ারে বসে বেরিয়ে আসছে।  আর তাকে অনির্বাণ এসে বলছে ‘রাই তুমি কোথাও যাবে না। তুমি আমার সাথে বাড়ি চলো রাই।’ কিন্তু তাকে হাত দেখিয়ে অনির্বাণকে থামিয়ে দিয়ে রাই বলে ওঠে, ‘আমার জীবনের সিদ্ধান্ত গুলো এবার থেকে আমি নেব তুমি না।’

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর