বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতীয় সিনেমায় এক জনপ্রিয় নাম রাজ কাপুর( Raj Kapoor)। একদিকে অভিনেতা অন্যদিকে পরিচালক। দুদিক সমান তালে রেখেই দর্শকদের মন জয় করেছেন তিনি। তাঁর ছবি মানেই সুপার ডুপার হিট। কমেডিয়ান হোক অথবা রোমান্টিক। সব ছবিতেই তিনি প্রশংসা কুড়িয়েছেন দর্শকের।
কিন্তু এই অভিনেতা জড়িয়েছেন নানান বিতর্কে। অভিনেতা নিজেই বলেছিলেন ‘তিনি নগ্নতার পুজারী। স্নানের সময় মাকে দেখেও নাকি কামতাড়িত হয়ে পড়েছিলেন’। এমনকি তাঁর পরিচালিত সমস্ত ছবিতে অভিনেত্রীদের স্নানের দৃশ্য রাখার চেষ্টা করতেন তিনি। একথায় স্বীকার করেছিলেন অভিনেতা।
রাজের ‘কলঙ্কময়’ প্রেমজীবনের কাহিনি সকলেরই জানা। কৃষ্ণা মলহোত্রের সঙ্গে তাঁর বৈবাহিক সম্পর্ক নিয়েও কথা উঠেছিল। অনেকেরই দাবি, কৃষ্ণা আসলে রাজের বাবার তুতো বোন ছিলেন। আবার বিবাহিত জীবনের পাশাপাশি চলত পরকীয়াও। অভিনেত্রী নার্গিস দত্ত, বৈজয়ন্তীমালা এবং দক্ষিণী অভিনেত্রী পদ্মিনীর সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন রাজ, এমনই শোনা যায়।
অভিনেত্রী জিমাত আমানকে তিনি কাজ দিয়েছিলেন বুকের গড়ন দেখে। সে কথাও এক সাক্ষাৎকারে স্বিকার করেছিলেন অভিনেতা। ১৯৭৮ সালে মুক্তি পায় ‘সত্যম শিবম সুন্দরম’। এই ছবিতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল শশী কপূর এবং জিনাত আমনকে। সিনেমা মুক্তির চার দশক পরেও দর্শকদের পছন্দের তালিকার শীর্ষ স্থানে ছিল এই সিনেমা।
বলিউডে তখন সুন্দরী অভিনেত্রী কম ছিল না। কিন্তু জিনাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হিসাবে রাজ জানিয়েছিলেন, তাঁর বুকের গড়নের কথা। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা পরিচালক জানিয়েছিলেন, বলিউডে সে সময়ে যে অভিনেত্রীরা ছিলেন, তাঁদের কারোর বুকের গড়নই পছন্দ হয়নি তাঁর। কিন্তু জিনাতকে দেখেই পছন্দ হয় রাজের।
তবে বিতর্ক যতই থাকুক রাজ কাপুর নাম তা বরাবরই পছন্দের তালিকায় রয়েছে ভারতীয়দের। ‘চার্লি চ্যাপলিন’ থেকে বা ‘শোম্যান’, ভারতীয় চলচ্চিত্রে রাজ কপূর এক অনন্য নাম। ‘মেরা নাম জোকার’, ‘প্রেমরোগ’, ‘ববি’, ‘সঙ্গম’-এর মতো অনেক ছবি পরিচালনার মাধ্যমে সহজেই তিনি মন ছুঁয়েছিলেন দর্শকদের।